সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মাঝেই গাজায় সামরিক অভিযান ইজরায়েলের। শনিবার গাজায় অভিযান চালিয়ে ৩ পণবন্দির দেহ উদ্ধার করল ইজরায়েলি সেনা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে বন্দি হয়েছিলেন এই তিন জন। সবমিলিয়ে চলতি মাসে ৮ জন পণবন্দির দেহ উদ্ধার করল ইজরায়েল।
হামাসের হাতে বন্দিদের উদ্ধার প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “গাজা উপত্যকা থেকে ৩ পণবন্দির দেহ উদ্ধার করেছে আমাদের সেনা। এরা হলেন, ইয়োনটাম সামরানো, ওফরা কেদার ও শাই লেভিনসন। এই সফল অভিযানের জন্য আমি আমাদের সেনাকে ধন্যবাদ জানাই।” পাশাপাশি তিনি বলেন, পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনতে ধারাবাহিকভাবে আমাদের অভিযান চলবে, একইসঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে সমান্তরালভাবে অভিযান জারি থাকবে। জীবিত হোক বা মৃত সকল পণবন্দিকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।”
গাজার কোথা থেকে এই দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি আইডিএফের তরফে। তবে দাবি করা হচ্ছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত হন তাঁরা। এরপর তাঁদের দেহ গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। মৃতদের মধ্যে ওফরা কেদার নামে ওই বৃদ্ধার বয়স ৭১ বছর, লেভিনসনের বয়স ১৯ ও সামরানোর বয়স ২৩ বছর। ৩ দেহ উদ্ধারের পর পণবন্দিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ফোরাম মৃতদের উদ্দেশে শোকবার্তা জানিয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, বর্তমান সামরিক অভিযানের মাঝে আমরা এটাই জানাতে চাই ৫০ পণবন্দিকে ফিরিয়ে আনাই হবে ইজরায়েলের সবচেয়ে বড় জয়।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে ইজরায়েলের মাটিতে হামলা চালিয়েছিল গাজার হামাস গোষ্ঠী। সেই অভিযানে ইজরায়েলের প্রায় ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে পণবন্দি করা হয়। এই হামলার প্রত্যাঘাতে এখনও পর্যন্ত গাজায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫৪,৬৭৭ জনের। হামাস যাঁদের বন্দি করেছিল তাঁদের বেশিরভাগকে উদ্ধার করা হলেও ৫৪ জন এখনও হামাসের হাতে বন্দি। যার মধ্যে ৩১ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলের সেনার।