সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডাকনাম এখন ‘ড্যাডি’। ন্যাটো কর্তার সম্বোধনের পর নয়া চর্চা কূটনৈতিক মহলে। এবার সেই শব্দকে হাতিয়ার করেই খোঁচা দিল ইজরায়েল। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগাচি শনিবার একটি পোস্টে লেখেন, ইরানের মিসাইলের হাত থেকে বাঁচতে ‘ড্যাডি’র কাছে আশ্রয় নিয়েছিল তেল আভিভ। সেই সঙ্গেই তাঁর হুঁশিয়ারি, যদি পরমাণু চুক্তি নিয়ে সিরিয়াস হতে চায় আমেরিকা, তাহলে ইরানের সুপ্রিম লিডার খামেনেই সম্পর্কে কোনওরকম অশ্রদ্ধা দেখাতে পারবেন না ট্রাম্প।
আরাঘাচি লিখেছেন, ‘মহান ও শক্তিশালী ইরানি জনগণ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত থেকে বাঁচতে ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার ‘ড্যাডি’র কাছে ছুটে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। যদি ফের তারা ভুলদিকে নিজেরে চালিত করে, ইরান আসল ক্ষমতা উন্মোচন করতে দ্বিধা করবে না। যা অবশ্যই ইরানের শক্তি সম্পর্কে যে কোনও বিভ্রান্তির অবসান ঘটাবে।’
পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিই চুক্তির ব্যাপারে আগ্রহী হন, তাহলে তাঁর উচিত ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, আয়াতোল্লা খামেনির প্রতি অসম্মানজনক সুর সরিয়ে রাখা এবং তাঁর লক্ষ লক্ষ হৃদয়বান সমর্থকদের আঘাত করা বন্ধ করা।’
প্রসঙ্গত, গত বুধবারই ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সম্মেলনের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”ওরা খুবই মারামারি শুরু করেছিল। একেবারে স্কুলচত্বরে দুই শিশুর মতো। আপনারা তো জানেন, ওরা কেমন লড়ছিল। এসব ক্ষেত্রে প্রথমে দুই-তিন মিনিট লড়তে দিতে হয়। তাহলেই সহজে থামানো যায়।” আর এরপরই তাঁর কথার মাঝখানে মার্ক বলে ওঠেন, ”আর সেক্ষেত্রে ড্যাডিকে এগিয়ে আসতেই হয়। কড়া কথা বলতে হয়।” এই মূহূর্তে বিশ্ব রাজনীতিতে চর্চায় ট্রাম্প ও তাঁর নতুন ‘ডাকনাম’। এবার সেই ডাকনামকেই হাতিয়ার করে আক্রমণ করল ইরান।