সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ইরাকে কাজে গিয়ে আটকে বাংলার ১২ পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযোগ, তাঁদের ঠিকমতো খেতে দেওয়া হচ্ছে না। উঠছে মারধরেরও অভিযোগ। দেওয়া হয়নি মাইনেও। শ্রমিকরা অত্যাচারের কথা জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘরে ফেরানোর অনুরোধ করেন তাঁরা। স্থানীয় প্রশাসন যোগাযোগ করে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে। তৎপর হয়ে ওঠে দিল্লি। ভারতীয় দূতাবাস যোগাযোগ করে শ্রমিকদের সঙ্গে। সমস্যা কাটিয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
৭-৮ মাস আগে এজেন্টের মাধ্যমে ইরাকের বাগদাদের একটি কোম্পানিতে কাজে কাজে যান বাংলার ১২জন। সেই দলে রয়েছেন নামখানার ৮জন। কাকদ্বীপের একজন, উস্তির একজন ও পূর্ব মেদিনীপুরের দু’জন বাসিন্দা। দিনকয়েক আগে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে আটকে পড়ার কথা তুলে ধরেন তাঁরা। অভিযোগ, তাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। আরও অভিযোগ তোলেন, খাওয়ার সমস্যা থেকে অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। বেশ কয়েকমাসের মাইনেও তাঁরা পাননি বলে জানান শ্রমিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চান তাঁরা। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের দারস্থ হন। সঙ্গে সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকে বিষয়টি জানান সুন্দরবন পুলিশ জেলার আধিকারিকরা।
এরপরই তৎপর হয়ে ওঠে ভারতীয় দূতাবাস। তারপরই তাঁদের বাড়ি ফিরে আসার বিষয়টি গতি পায়। শ্রমিকরা ইরাক থেকেই পরিবারের সদস্য ও পুলিশকে জানিয়েছেন, ভারতীয় দূতাবাস থেকে আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আগামী ৭ থেকে ১০দিনে মধ্যে তাঁরা দেশে ফিরে আসবেন। পাশাপাশি এজেন্সি তাঁদের পাওনাও মিটিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে। ছেলেদের বাড়ি ফেরার খবরে খুশি পরিবার। তবে যতক্ষণ না ঘরের লোক ঘরে না ফিরছেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন না ১২টি পরিবার।