সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গান তাঁর নেশা। এখনও মঞ্চে দাপুটে পারফরম্যান্স করেন। সেই পরাশর যোশীকেই সম্প্রতি অন্য ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। টিভিতে দেখা যাচ্ছে প্রায়ই। কিন্তু সেটা গানের জন্য নয়। যেভাবে কণ্ঠের জাদুতে সুর-তালকে বশে নিয়ে আসেন। এখন তাঁর হাতের একটি ইশারায় ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায় কোহলি-ধোনিদের। ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এ গান গাওয়া থেকে আইপিএলের আম্পায়ার হওয়া। হ্যাঁ, অনেকটা এরকম পরাশরের সফর।
ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই। ক্লাব পর্যায়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন। পাশাপাশি চর্চা ছিল গান-বাজনা নিয়েও। হঠাৎ ঠিক করেন সঙ্গীতকে পেশা করে তুলবেন। ইন্ডিয়ান আইডলের মতো জনপ্রিয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অডিশন দেন। কিন্তু প্রথমবার শিঁকে ছেড়েনি। পরে ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান আইডলের চতুর্থ সিজনে নির্বাচিত হন। জাভেদ আখতার, অনু মালিকদের সামনে গানও করেন। কিন্তু প্রত্যাশিত সাফল্য আসেনি।
ফের বাঁক নিল তাঁর কেরিয়ার। এবার পুরোপুরি নজর আম্পায়রিংয়ে। ২০১৫-এ বিসিসিআইয়ের আম্পায়ারদের তালিকায় তাঁর নাম নথিভুক্ত হয়। প্রথম দিকে শুধুমাত্র রনজি বা দলীপ ট্রফির মতো ঘরোয়া ক্রিকেটের দায়িত্ব সামলেছেন। গতবছর মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগে আম্পায়ার ছিলেন। অবশেষে এবছর আইপিএলে অভিষেক হয়। ৫ এপ্রিল সিএসকে-দিল্লি ম্যাচে আম্পায়রিং করেন।
এরপর একাধিক ম্যাচে দায়িত্ব সামলান। কোহলি, রোহিত, বুমরাহ, রাসেলের মতো দেশি-বিদেশি তারকাদের ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। আবার অনেকে পরাশরের সঙ্গে মিল খুঁজে পান শ্রেয়স আইয়ারের। তবে এখনও গান ছাড়েননি তিনি। সুযোগ পেলেই মঞ্চ মাতান। আর আইপিএলের মঞ্চ তো রইলই।