ইদের ছুটি কাটতেই দাবিতে অনড়, ফের ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে সচিবালয়ে বিক্ষোভ সরকারি কর্মীদের

ইদের ছুটি কাটতেই দাবিতে অনড়, ফের ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে সচিবালয়ে বিক্ষোভ সরকারি কর্মীদের

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দেশজুড়ে আরও বড় আন্দোলনে নামার। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল করেছিলেন। চারদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির পর স্থগিত হয়ে যায় ঢাকার সচিবালয়ে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন। কিন্তু ইদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পর ফের সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের ভিতরে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগের কর্মচারীরা।

জানা গিয়েছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কর্মচারীরা মিছিল করে প্রথমে সচিবালয়ের বাদামতলায় জমায়েত হন। পরে সেখান থেকে তাঁরা যান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে। সেখানে তাঁরা জড়ো হয়ে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানান। তাঁরা ‘অবৈধ কালো আইন, মানি না, মানি না’ বলে স্লোগান দেন। বিক্ষোভ শেষে কর্মচারীরা এদিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের কাছে স্মারকলিপি দেন।‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে পবিত্র ঈদুল আজহার আগে থেকে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।

শেখ হাসিনার আমলের ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর রবিবার (২৫ মে) রাতে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার। উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশটি অনুমোদনের পর থেকেই গত কয়েকদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন আধিকারিক ও কর্মচারীরা। অধ্যাদেশ জারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা বাতিল করার দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সরকারি কর্মীরা। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়।

নয়া অধ্যাদেশ অনুসারে, বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীরা যদি এমন কোনও কাজ করেন, যা সরকার বা প্রশাসনের প্রতি আনুগত্যের পরিপন্থী, তা হলে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। এছাড়া যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া ছুটি নিলে, সহকর্মীকেও ছুটি নিতে প্ররোচিত করলে কিংবা নির্দিষ্ট কাজ করতে ব্যর্থ হলেও সরকারি কর্মচারীদের চাকরি যেতে পারে। কোনও কর্মচারীর বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ উঠলে তাঁকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ জানানোর নোটিস দেওয়া হবে। কোনও কর্মচারী দোষী সাব্যস্ত হলে কেন তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে না, তা জানাতে সাত দিন সময় দেওয়া হবে। শাস্তি পেলে সেই কর্মচারী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করা যাবে না। এনিয়েই আপত্তি সরকারি কর্মচারীদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *