সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা ছিলই। সেই জল্পনা সত্যি করে অবশেষে ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্পের এই ‘সাহসী সিদ্ধান্তে’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দাবি করলেন, ইতিহাস আমেরিকার এই পদক্ষেপকে মনে রাখবে।
একটি ভাষণে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”ইতিহাসে লেখা থাকবে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক শাসনব্যবস্থা, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রকে অস্বীকার করতে পেরেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্পের নেতৃত্ব ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় তৈরি করেছে যা মধ্যপ্রাচ্য এবং তার বহিরাঞ্চলকেও সমৃদ্ধি ও শান্তির এক ভবিষ্যতের দিকে এগোতে সাহায্য করবে।” সেই সঙ্গেই নেতানিয়াহু বলেন, ”আমি ও ট্রাম্প প্রায়ই বলি শক্তির মাধ্যমে শান্তি। সবচেয়ে আগে আসে শক্তি। তারপর আসে শান্তি। এবং আজ রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আমেরিকা শক্তির পরিচয় দিয়েছে।” হামলার পরই যে ট্রাম্প তাঁকে ফোন করেছিলেন সেকথাও জানান তিনি। জানা গিয়েছে, ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে বলেছেন, ”আমরা দল হিসেবে কাজ করেছি।”
এদিন হামলার পর মার্কিন ‘যোদ্ধা’দের শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাম্প দাবি করলেন, ‘এখন শান্তির সময়।’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ইরানের আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় আমেরিকা নিশানা সেধে রেখেছে। ইরান যদি শান্তির পথে না ফেরে তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হবে। আমেরিকা এবার দ্রুততার সঙ্গে প্রাণঘাতী হামলা চালাবে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে শুক্রবারই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র গবেষণা বন্ধের জন্য দু’সপ্তাহ সময় দিতে চান তিনি। কিন্তু সেই সময়সীমার অনেক আগেই ইরানে হামলা চালিয়ে দিল মার্কিন সেনা। মধ্যপ্রাচ্যের এই লড়াইয়ে আমেরিকা সরাসরি জড়িয়ে পড়ায় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা যে ঘনীভূত হচ্ছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।