ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বৈঠকে রাজি হামাস, ‘সুখবর’, বললেন ট্রাম্প

ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বৈঠকে রাজি হামাস, ‘সুখবর’, বললেন ট্রাম্প

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার দাবি অনুযায়ী গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে আগেই রাজি হয়েছে ইজরায়েল, এবার যুদ্ধবিরতি বৈঠকে রাজি হল প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসও। শনিবার এই সংবাদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেন সংবাদিকরা। উত্তরে ধনকুবের প্রেসিডেন্ট বললেন, “সুখবর। গাজা নিয়ে কিছু একটা করতেই হবে।”

উল্লেখ্য, সোমবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ঠিক তার আগে যুদ্ধবিরতি আলাপ আলোচনায় রাজি হল হামাস। এএফপি-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, প্যালেস্টাইনের অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেই তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছে। এক বিবৃতিতে হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব নিয়ে ‘অবিলম্বে এবং আন্তরিকভাবে’ আলোচনায় বসতে রাজি আছে তারা।

হামাসের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে ইসলামিক জিহাদও। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরে ইজরায়েল যে নতুন করে আক্রমণ করবে না, এই বিষয়ে ‘গ্যারান্টি’ চেয়েছে তারা। এদিকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে হামাসের যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সম্মতির বিষয়টি জানতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বিষয়ে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “সুখবর। তবে আমাকে এখনও এই বিষয়ে জানানো হয়নি। কিন্তু গাজা নিয়ে কিছু একটা করতেই হবে।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলায় ১২০০ মানুষের মৃত্যু ও ২৫০ জনকে পণবন্দি করার পর প্রত্যাঘাত শুরু করে ইজরায়েল। গত দুই বছর ধরে চলা এই ভয়ংকর যুদ্ধে গাজা যখন কার্যত জনমানব শূন্য হয়ে উঠেছে। হামাসের অভিযোগ শুরু থেকে এই হামলায় ইজরায়েলকে মদত দিয়ে আসছে আমেরিকা। লাগাতার হামলায় গাজায় মৃত্যু হয়েছে অন্তর ৫৮ হাজার মানুষের। বীভৎস গাজায় খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষুদার্থদের উপর হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। যার জেরে সম্প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান আন্তেনিও গুতেরেস। তাঁর বক্তব্য, খাবারের বদলে গাজায় মৃত্যু বিলি করছে আমেরিকা। তিনি বলেন, গাজায় ত্রাণ পৌঁছনোর যে প্রক্রিয়া চলছে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর মাধ্যমে সাধারন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। যখন কোনও ব্যক্তি তাঁর পরিবারের খিদে মেটাতে খাবারের লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তাদের হত্যা করা হচ্ছে। খাদ্য বিতরণের অর্থ কখনও হত্যাযজ্ঞ হতে পারে না। ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মাঝে এবার গাজায় শান্তির দূত হয়ে ওঠার চেষ্টায় আমেরিকা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *