সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘নিষিদ্ধ’ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল ইরানের বিরুদ্ধে। ইজরায়েলি সেনার তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। আইডিএফের ফ্রন্ট কমান্ড নিশ্চিত দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৯ জুন ইরান তেল আভিভে যে হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে অন্তত একটি ছিল ক্লাস্টার বোমা ওয়ারহেডযুক্ত। এদিন ইরান মোট ২০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, ক্লাস্টার বোমা নাকি এতটাই ভয়ংকর যে বিশ্বের ১২০টি দেশ এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কেন এতটা ভয়ংকর বলা হয় এই বোমাকে? জানা যায়, ক্লাস্টার বোমা ফেটে গিয়ে আরও অনেক ছোট ছোট বোমা বেরিয়ে বিরাট এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমারু বিমান বা জমি থেকেও এই বোমা ছোড়া যায়। এক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট জায়গা নয়, বড় অঞ্চল নিশানায় থাকে। ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা খুব বেশি। তাই এই বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ। ফলে আন্তর্জাতিক আঙিনায় প্রশ্ন উঠেছে, এই বোমা ব্যবহার করে ইরান কি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও যুদ্ধ আইন লঙ্ঘন করল? বলে রাখা ভালো, ২০০৮ সালে ‘কনভেনশন অফ ক্লাস্টার মিউনিশনস’ আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও ইজরায়েল, ইরান, আমেরিকা এতে অংশ নেয়নি। রাশিয়া, চিন ও ভারতের মতো দেশও এই চুক্তিতে সই করেনি।
যত সময় যাচ্ছে ততই ইজরায়েল-ইরান সংঘাত এক ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে। যা নতুন মাত্রা পেল ইজরায়েলি সেনার দাবিতে। মনে করা হচ্ছে, ১২০টি দেশে ‘নিষিদ্ধ’ অস্ত্র ব্যবহার ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য বিপর্যয়ের মেঘ সৃষ্টি করছে। এখন দেখার, ইরান এই হামলার কথা স্বীকার করে কিনা।
প্রসঙ্গত, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে, এমন আশঙ্কা থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের শুরু। হামলা চালায় ইজরায়েল। আমেরিকাও ক্রমাগত চাপ দিয়ে তেহরানকে আণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল। যদিও তারা তা মানেনি। তারপর থেকেই যুদ্ধ ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রেও হামলা চালিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ইজরায়েলের হাসপাতালে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে শঙ্কিত বিশ্ব।