ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ির ধাক্কা নাকি পিটিয়ে খুন? পলতায় তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য

ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ির ধাক্কা নাকি পিটিয়ে খুন? পলতায় তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


অর্ণব দাস, বারাকপুর: গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল নেতার মৃত্যু ঘিরে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে। প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সেটাও ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যদিও পরিবারের দাবি, পিটিয়ে মারা হয়েছে পলতার ওই তৃণমূল কর্মীকে।

স্বাভাবিকভাবেই বছর চল্লিশের তৃণমূল কর্মী হান্নান গাজির মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুরের শ্রীপল্লী কালীয়ানী নিবাস এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন হান্নান। পলতার তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। পলতা রেল স্টেশনের কাছেই তাঁর একটি গ্যারাজও রয়েছে। অন্যান্য দিনের মত শুক্রবার আনুমানিক রাত দেড়টা নাগাদ তিনি গ্যারাজ বন্ধ করে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। শিশু তীর্থ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গাড়ির ধাক্কায় হান্নানের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী অভিষেক নন্দী। তাঁর কথায়, “দু’জনে হেটে ফিরছিলাম। পিছন দিক থেকে একটি সাদা চার চাকা গাড়ি ওঁকে জোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এই খবর জানানোর জন্য যখন অন্যান্যদের ফোন করছি, তখন আবার ওই গাড়ি ব্যাক করে এসেছিল। মনে হয় পরিকল্পনা করেই এটা করা হয়েছে। যদি অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা হত তাহলে তো আমাকেও ধাক্কা দিত।”

এই প্রসঙ্গ টেনেই মৃতের বৌদি আর্জিনা বিবি বলেন, “ও (অভিষেক নন্দী) ভয়ে সত্যিটা ভয়ে বলছে না, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে সেটা বলতে পারব না। আমরা গিয়ে দেখেছি মাথার সামনে ফাটা, পিছনে আঘাতের চিহ্ন। কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি, মাথায় বাড়ি মেরেছে এটা নিশ্চিত। পুরোনো রাগ নাকি বলতে পারব না। আমরা চাই পুলিশ সত্যিটা আমাদের জানাক।” একই অভিযোগ তুলে মৃতের ভাগ্নে মোস্তফা গাজির বক্তব্য, “আমার দেখে দুর্ঘটনা মনে হয়নি। মনে হয়েছে, মামাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।” স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ধন্দের মাঝেই বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দ্রবদন ঝাঁ জানিয়েছেন, মৃতের স্ত্রী পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘাতক গাড়ি ও চালকের খোঁজ চালানো হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *