স্টাফ রিপোর্টার: আইপিএলের দেখানো পথে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশে। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ থেকে শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ টি-টোয়েন্টি থেকে মার্কিন মুলুকের মেজর লিগ ক্রিকেট। আইপিএলের মতো অর্থ ও খ্যাতি না থাকলেও এই লিগগুলি কম জনপ্রিয় নয়। আবার ফরম্যাট বদলে দশ ওভার বা একশো বলের লিগও চালু হয়েছে বহু দেশে। যেমন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবু ধাবি টি-টেন বা ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড। এবার সেই পথ ধরেই চালু হতে চলেছে ইউরোপের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ। ২০২৬ থেকে শুরু হবে ইউরোপিয়ান টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ (ইটিপিএল)। আয়োজক কোনও একটা নয়, তিন-তিনটে দেশ। স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস মিলে খেলা হবে আইসিসি অনুমোদিত এই লিগে।
অবশ্য বিশ্বজোড়া এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলিতে আরও একটা বিষয় ‘কমন’। প্রায় প্রতিটিতেই রয়েছে ভারতীয় মালিকানার যোগ। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, মেজর লিগ সকার, এসএ টি-টোয়েন্টি, দ্য হান্ড্রেডের বহু দলেই এখন রয়েছে ভারতীয়দের অংশীদারিত্ব। ব্যতিক্রম নয় ইটিপিএল-ও। তবে এক্ষেত্রে মালিকানাটা একটু ভিন্নভাবে। ইটিপিএল-এর মালিকানা সংস্থার অন্যতম অংশীদারের নাম অভিষেক বচ্চন। পেশায় অভিনেতা হলেও ক্রীড়া বাণিজ্যে বিশেষ একটা অপরিচিত নাম নন ‘জুনিয়র বচ্চন’। আইএসএলে চেন্নাইয়িন এফসি হোক বা প্রো কবাডিতে জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্স- বিভিন্ন খেলার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সঙ্গে জড়িত তিনি। আর এবার তো গোটা লিগই আয়োজন করতে চলেছেন!
অভিষেক মনে করছেন, এই লিগের হাত ধরেই বদলে যাবে ইউরোপীয় ক্রিকেটের চালচিত্র। ইটিপিএল প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “ইউরোপের বাজার পেশাদার টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য তৈরি হয়েই রয়েছে। তাই আমরা এখানে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাছাড়া যে তিনটে দেশে ইটিপিএল হবে, সেই স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড আর নেদারল্যান্ডসে ক্রিকেট অপরিচিত নয়। তিনটে দেশই বিভিন্ন সময়ে একাধিক ফরম্যাটে বিশ্বকাপ খেলেছে।”
২০২৮ লস অ্যাঞ্চেলেস অলিম্পিকে যোগ হয়েছে ক্রিকেট। ১২৮ বছর ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এ দেখা যাবে ব্যাট-বলের লড়াই। ফলে ইউরোপে টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর জন্য এটাই সেরা সময় বলে মন করছেন অভিষেক। তাঁর কথা, “আগামী অলিম্পিকে ক্রিকেট যোগ হয়েছে। ফলে আমরা মনে করছি, এটাই ইটিপিএল চালুর সঠিক সময়। এই তিন দেশে নিজস্ব পেশাদার টি-টোয়েন্টি লিগ থাকা প্রয়োজন। কারণ আইসিসি-র সদস্য দেশগুলির অধিকাংশেরই এমন লিগ রয়েছে। আর এমন লিগ দেশের ক্রিকেট মানচিত্র বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। নতুন প্লেয়ার উঠে আসে এই লিগে খেলে। সেটা অলিম্পিকে খেলার সময় সাহায্য করবে।”