রমেন দাস: ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তাল বাংলাদেশ। একাধিকবারের আর্জিতেও জামিন পাননি তিনি। ঘটনার আঁঁচ পড়েছে বাংলাতেও। সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এর মুখোমুখি হয়ে চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেপ্তারি নিয়ে একরাশ আক্ষেপ প্রকাশ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। বললেন, “ওঁর মতো মানুষের সঙ্গে যারা (ইউনুস সরকার) এটা করেছে তারা সভ্যতার শত্রু।”
মঙ্গলবার সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এর মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্য-রাজনীতির পাশাপাশি পড়শি দেশের প্রসঙ্গও ওঠে। চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেপ্তারি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হলেন শমীক। তিনি বলেন, “এখন যেখানে বসে আছি এই ঘরে এসেছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। নিয়মিত আমার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। গ্রেপ্তারির ২০ দিন আগেও এসেছিলেন। এখানে বসেই জীবনানন্দের কবিতা বলেছেন। ওই দৃশ্য ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়।” তারপরই তিনি বলেন, “গ্রেপ্তারির দিন হঠাৎ ফোন এল। ধরে সৌজন্য জানাতেই ওপ্রান্ত থেকে অন্য কণ্ঠ। বলল, স্বামীজিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই মাত্র। ওর ফোনটা আমি নিয়ে নিলাম।”
একথা বলতে বলতেই কার্যত ভেঙে পড়লেন শমীক। একরাশ হতাশা ভরা কণ্ঠে বললেন, “ওর গ্রেপ্তারি মানবতার কাছে চ্যালেঞ্জ। যারা ওকে গ্রেপ্তার করেছে তারা সভ্যতার শত্রু। আমি ব্যর্থ, আমি কিছু করতে পারিনি। একজন সন্ন্যাসী, যিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে জীবনানন্দের কবিতা বলছেন, জন্মভূমির প্রতি তাঁর এই শ্রদ্ধা, আকুতির পরিণতি জেল! এতে আমি ব্যথিত।”
প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন চলছেই। এই অত্যাচারের প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন ইসকন তথা সম্মিলিত হিন্দু জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। গত ২৫ নভেম্বর বিকালে তাঁকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এখনও জেলবন্দি তিনি।