সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসিনা পরবর্তী অধ্যায়ে ‘বদলের বাংলাদেশে’ একাধিক কর্মকাণ্ড দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে সভ্যসমাজের। লাগাতার ভারতবিরোধী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে নতুন বাংলাদেশ। কখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটে কখনও বা পাবনার ‘রমা’ সুচিত্রা সেনের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ির উপর কোপ পড়েছে ইউনুস সরকারের। এবার বদলের বাংলাদেশে ধূলিস্যাৎ হওয়ার পথে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে। ময়মনসিংহের যে বাড়িটি কিংবদন্তী উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতিবিজড়িত। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারতীয়দের একাংশ। এবার গর্জে উঠলেন হিন্দু টেলিদুনিয়ার ‘অনুপমা’ রুপালি গঙ্গোপাধ্যায়।
মুম্বইতে থাকলেও রুপালি মনেপ্রাণে বাঙালি। এখনও উৎসব-অনুষ্ঠানে শাঁখা-পলা পরতে দেখা যায় তাঁকে। এবার বাংলাদেশের মাটিতে বাঙালির অপমানে গর্জে উঠলেন অভিনেত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে ইউনুস সরকারের তীব্র বিরোধিতা করে ‘অনুপমা’ নায়িকার মন্তব্য, ‘অত্যন্ত জঘন্য এবং ক্ষমার অযোগ্য কাজ! মহম্মদ ইউনুসের তথাকথিত ‘নৈতিক নেতৃত্বে’ বাংলাদেশে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ভারতরত্ন সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে। তবে এটাকে কেবল ভেঙে ফেলা হিসেবে দেখলেই হবে না। এটা আসলে ইউনুস সরকারের বার্তা। ওরা শিল্পকে ভয় পায়। ওরা ঐতিহ্যকে মুছে ফেলতে চায়। ওরা সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক নয়, বরং হিংসাকে মহিমান্বিত করে। এই কাজের মধ্য দিয়েই ওদের আসল রূপ উন্মোচিত হল।’
বাংলাদেশের সংবাদমধ্যমগুলির প্রতিবেদনে দাবি, শতাব্দী প্রাচীন একতলা বাড়িটি ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি ব্যবহার করা শুরু করে। ২০০৭ সালের পর থেকে বাড়িটি অব্যবহৃত অবস্থায় ছিল। পরিত্যক্ত বাড়িটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনায় কাজ শুরু করছে শিশু অ্যাকাডেমি। জানা যাচ্ছে, শিশু অ্যাকাডেমিই বাড়িটি ভেঙে বহুতল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে বাড়িটির সামনের অংশের প্রায় পুরোটাই ভাঙা হয়ে গিয়েছে। যেহেতু এই বাড়ির সঙ্গে বিশিষ্ট বহু মানুষদের স্মৃতি জড়িয়ে তাই আপাতত বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের হস্তক্ষেপে ভাঙার কাজ বন্ধ হয়েছে।