সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই রীতিমত ঘোল খাইয়ে রাশিয়ার বুকে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। ধ্বংস করে দেওয়া হয় ৪০টিরও বেশি রুশ যুদ্ধবিমান। তারপর থেকেই ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশে আক্রমণের ঝাঁজ তীব্র করেছিল রুশ সেনা। এবার বদলা নিতে রাতভর ইউক্রেনে হামলা চালালো রাশিয়া! ৪৭৯টি ড্রোন, ২০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হেনেছে বিভিন্ন শহরে।
গত মাসেই ইস্তানবুলে প্রথম দফায় শান্তিচুক্তি নিয়ে বৈঠক হয় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্য়ে। তার নিটফলও শূন্য়ই ছিল। এর মাঝেই ১ জুন আকস্মিক হামলা চালিয়ে শক্তিধর রাশিয়াকে কাঁপিয়ে দেয় ইউক্রেন। বায়ুসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’ চালায় জেলেনস্কির দেশ। যাকে মাকড়সা জালের সঙ্গে তুলনা করা হয়। ধ্বংস করে দেওয়া হয় রুশ বোমারু বিমান Tu-95, Tu22M3 ও একটি A-50 বিমান। সেই থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল মস্কো।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতভর ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে আগুন ঝরায় রুশ সেনা। কিন্তু বিবৃতি দিয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে দাবি করে, রাশিয়ার ৪৭৯টি ড্রোনের মধ্য়ে ৪৬০টি ও ২০ মিসাইলের ১৯টি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ফলে যুদ্ধবিরতির ফের কয়েক কদম পিছিয়ে গেল রাশিয়া। এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ইউক্রেনের হামলার পরও ইস্তানবুলে আলোচনায় বসেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে ভ্লাদিমির মেডিনস্কি জানান, “প্রথমে আমরা ৬ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা ও অফিসারের দেহ ফেরত দেব। আমরা তাঁদের রেখে দিয়েছিলাম। আমরা যাঁদের সম্ভব তাঁদের সবাইকে শনাক্ত করেছি। ডিএনএ পরীক্ষা করেছি এবং পরিচয় খুঁজে বের করেছি। আগামী সপ্তাহে আমরা এই মৃতদেহগুলো ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করব।” রয়টার্স সূত্রে খবর, সেই চুক্তি মতোই ১ হাজার ২১২ ইউক্রেনীয় সেনার দেহ সীমান্তে নিয়ে আসে রুশ ফৌজ। কিন্তু কিয়েভ নাকি সেগুলো ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছে। এমনকী তারা কোনও জেলবন্দিকেও মুক্তি দেয়নি। ফলে কবে এই যুদ্ধ থামবে তার উত্তর এখনও অধরা।