আহমেদাবাদে পাঞ্জাবের জয়, ফাইনালে দেখা যাবে না রো-কো লড়াই

আহমেদাবাদে পাঞ্জাবের জয়, ফাইনালে দেখা যাবে না রো-কো লড়াই

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টির পর আকাশ যেমন আরও সুন্দর দেখায়, শ্রেয়সের পাঞ্জাব কিংসের ক্ষেত্রেও এ কথা বলা যায়। আত্মবিশ্বাস, সংকল্প ও জেদ – ত্রয়ীয় সংমিশ্রণ যেন ঝরে পড়ছিল তাদের খেলায়। যার ফলস্বরূপ মঙ্গলবার ফাইনাল যুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হতে চলেছে তারা।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই প্রভসিমরন সিংয়ের উইকেট হারায় পাঞ্জাব। ট্রেন্ট বোল্টের বলে মাত্র ৬ রানে আউট ২৪ বছর বয়সি ক্রিকেটার। এরপর জশ ইংলিশ নামায় রানের গতি বাড়ে। তাঁর ঝোড়ো ইনিংস থামে ২১ বলে ৩৮ রানে। পাণ্ডিয়া ফেরান তাঁকে। অন্য প্রান্তে ১০ বলে ২০ রান করে ততক্ষণে ফিরে গিয়েছেন প্রিয়াংশ আর্য। প্রথম ৮ ওভারে ৭২ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে তখন কিছুটা বেকায়দায় পাঞ্জাব। যদিও তার আগে ক্রিকেট মহল দেখে নিয়েছে ‘আশ্চর্য’ এক ঘটনা। নিজের প্রথম ওভারে জশপ্রীত বুমরাহ দিয়ে বসলেন ২০ রান। শেষ কবে ক্রিকেটপ্রেমীরা বুমরাহকে এমন মার খেতে দেখেছেন হয়তো মনে করতে পারবেন না।

এরপর শ্রেয়স আইয়ার এবং নেহাল বাধেরা মিলে পাঞ্জাবকে বিপন্মুক্ত করার চেষ্টা করেন। যদিও মাত্র ১৩ রানের মাথায় জীবনদান পান নেহাল। তাঁর সহজ ক্যাচ বাউন্ডারি লাইনে মিস করেন কিউয়ি তারকা ট্রেন্ট বোল্ট। নকআউট স্টেজে এমন ক্যাচ মিস, অনেকটাই ব্যয়বহুল হয়ে যায়। সেই নেহাল ফেরেন ২৯ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। উইকেটের অন্য প্রান্তে ‘খুনে মেজাজে’ ছিলেন শ্রেয়স। ১৩তম ওভারে ইংরেজ বাঁ-হাতি পেসার উইলিয়াম টপলির ওভারে পরপর তিনটে ছক্কা হাঁকান পাঞ্জাব দলনায়ক। ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তবে হার্দিক পাণ্ডিয়ার একটা অনবদ্য থ্রো ম্যাচে ফেরায় মুম্বইকে। মাত্র ২ রানে রানআউট শশাঙ্ক সিং। কিন্তু যে দলে শ্রেয়সের মতো ক্রিকেটার, তাদের ভয় নেই। ৪১ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে একার হাতেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তাঁর সামনে রীতিমতো অসহায় লাগছিল পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নদের। পাঞ্জাবের এই জয়ের ফলে ফাইনালে দেখা যাবে না ‘রো-কো’ লড়াই। তবে, নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে চলেছে অষ্টাদশ আইপিএল। 

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। প্রথম তিন ওভারের মধ্যে রোহিত আউট হয়ে হওয়ায় শুরুটা মজবুত হয়নি মুম্বইয়ের। যদিও শুরুর ঝটকা কাটিয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায় পাণ্ডিয়া বাহিনী। জনি বেয়ারস্টো এবং তিলক বর্মা মিলে ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ২৪ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন বেয়ারস্টো। এরপর সূর্যকুমার যাদব ছিলেন সাবলীল।

২৬ বলে ৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে চাহালের বলে আউট হয়ে ডাগআউট যাত্রা করেন তিনি। এদিন তিনি একটি নজিরও গড়েন। ১৫ রান করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভেঙে দেন এবি ডিভিলিয়ার্সের রেকর্ড। নন ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে এক মরশুমে ৬৮৭ রানের রেকর্ড ছিল তাঁর নামের পাশে। ২০১৬ মরশুমে ১৬ ম্যাচ খেলে এই নজির গড়েছিলেন ‘এবিডি’। সেই রেকর্ড এদিন ভাঙেন সূর্য। চলতি মরশুমে ১৪ ম্যাচে তাঁর রান ৭১৭। 

২৯ বলে ৪৪ রানে আউট হন তিলক বর্মাও। পরপর দু’টো উইকেট পড়ে গেলেও মুম্বইয়ের ইনিংস দু’শো পেরোয় নমন ধীরের সৌজন্যে। করেন ১৫ বলে ৩৩। শেষপর্যন্ত মুম্বইয়ের ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ২০৩ রানে। পাঞ্জাবের হয়ে আজমতুল্লাহ ওমরজাই ২টি, কাইল জেমিসন, মার্কাস স্টয়নিস, বিজয়কুমার বৈশক এবং যুজবেন্দ্র চাহাল নেন ১টি করে উইকেট।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *