‘আল্লা’র নামে বেঁচেছে হিন্দু প্রাণ, কী এই কলমা? ইসলামে এর গুরুত্ব কতখানি!

‘আল্লা’র নামে বেঁচেছে হিন্দু প্রাণ, কী এই কলমা? ইসলামে এর গুরুত্ব কতখানি!

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওে জঙ্গি হামলা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। স্বামীর নিথর দেহের পাশে পাথর হয়ে যুবতীর বসে থাকার ছবি সন্ত্রাসবাদের চিত্রের রূপ পেয়েছে। বেছে বেছে হিন্দু নিধনে উঠে এসেছে ‘কলমা’র নাম। সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা অসমের অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, কলমা পড়ায় বন্দুকের নল তাঁর থেকে সরিয়ে নেয় জঙ্গিরা। জঙ্গি হামলায় নিহত শুভম দ্বিবেদীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, “ওঁরা দাদার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করেছিল মুসলিম কি না, যদি হও কলমা পড়ো।” কলমা যে মুসলিমদের পবিত্র কোনও ‘মন্ত্র’ তা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু মরণ-বাঁচনের ভূমিকা নেওয়া এই কলমা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? কী বলছে ইসলাম?

কলমাকে শাহদাতও বলা হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্ম অনুসারে, কলমা আল্লা এবং মহম্মদের নবুওয়তের প্রতি বিশ্বাসকে নিশ্চিত করে। যা নিয়মিত পাঠ করতে হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই কলমা পাঠ করলে নবীর অঙ্গীকারের কথা সবসময় মনে রাখা যায়। আরও বলা হয়, মুসলিমদের ব্যক্তিগত প্রতিফলন ও ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের প্রমাণ দেয়। ইসলামে ছ’টি কলমা রয়েছে। যার প্রতিটির আলাদা মানে রয়েছে।

প্রথম কলমা:
ইসলাম অনুসারে মনে করা হয় কলমা পাঠের ফলে ধর্মের প্রতি তাঁদের বিশ্বাস গাঢ় হয়। আল্লার প্রতি ভক্তিকে আরও দৃঢ় করে। প্রথম কলমায়, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ শ্লোক রয়েছে যার অর্থ করলে দাঁড়ায়, আল্লা ছাড়া আর কোনও উপাসক নেই, তিনিই একমাত্র, তার কোনও অংশীদার নেই। এই প্রথম কলমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

দ্বিতীয় কলমা বা কলমা শাহদা:
অন্য ধর্ম থেকে কোনও ব্যক্তি যখন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তখন তাঁকে দ্বিতীয় কলমা পড়ানো হয়। তাঁর মুখ দিয়ে বলানো হয়, ‘আমি সাক্ষী দিচ্ছি আল্লা ছাড়া কোনও উপাস্য নেই। তিনি একমাত্র।’

তৃতীয় কলমা বা কলমা তামজীদ:
এই কলমা আল্লার পূর্ণতা, সার্বভৌমত্ব এবং মহত্বের প্রশংসা করে। আল্লার করুণার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

চতুর্থ কলমা বা কলমা তাওহীদ:
এই কলমায় আল্লার একাত্ববাদের বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে। এই কলমা বলা হয়, ইসলামি ওয়েবসাইটগুলি এর অনুবাদ এভাবে করে, “আল্লা ছাড়া আর কেউ উপাসনার যোগ্য নয়। তিনি একক। এবং তাঁর কোনও অংশীদার নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য। তিনি জীবন দান করেন। মৃত্যুর পিছনে তিনিই আছেন। তাঁর হাতেই সকল কল্যাণ। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।

পঞ্চম কলমা বা কলমা আস্তাগফার:
এই কলমা পাঠের মাধ্যমে যে কোনও পাপের ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। মুসলিম ধর্ম অনুসারে, এই কলমা পাঠ করার অর্থ, আমি আল্লার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তিনি আমার পালনকর্তা। আমি জেনে-অজান্তে পাপ করেছি। ক্ষমা করে দিন। আমার সব পাপ আমি জানি না, কিন্তু আপনি সর্বশক্তিমান। আপনি সবটাই জানেন।

ষষ্ঠ কলমা বা কলমা রাদ্দে কুফর:
এই কলমা পাঠ করে একজন মুসলিম সকল প্রকার জিনিস ত্যাগ করে, একমাত্র সত্য আল্লার প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন। এই কলমা পাঠ করে বলা হয়, আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। সব কিছু ত্যাগ করে আপনার কাছে আত্মসর্মপণ করছি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *