সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল কেকেআর। অথচ এবার প্লে অফের স্বপ্ন আকাশকুসুম। ৮ ম্যাচে মাত্র তিনটি জয়। পাঞ্জাবের কাছে হার মানে এবারের মতো বিদায়ের বাজনা প্রায় বেজে যাবে কেকেআরের জন্য। যদি মইন আলি বিশ্বাস করেন, ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’। কিন্তু কীভাবে ফিরে আসা যায়? নাইট তারকার মতে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো করে।
হাতে আর মাত্র ছটি ম্যাচ। সাধারণত ধরা হয়, ১৬ পয়েন্ট পেলে প্লে অফ নিশ্চিত হতে পারে। সেখানে অবশ্য নেট রানরেটের অনেক জটিল অঙ্ক থাকবে। কিন্তু তার আগে তো অন্তত পাঁচটি ম্যাচ জিততে হবে। যে দলটা ইতিমধ্যে পাঁচটা ম্যাচ হেরে বসে আছে, পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১১২ রানও তুলতে পারেনি, শেষ ম্যাচে হেরেছে গুজরাটের কাছে। তারা কীভাবে কামব্যাক করবে?
পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে মইন আলি বললেন, “ইতিহাসের দিকে তাকান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স খারাপ শুরু করেছিল। কিন্তু এখন ওরা চারটি ম্যাচ জিতে লড়াইয়ে এগিয়ে গিয়েছে। আমাদেরও সেই মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে। আমাদের প্রায় সবকটা ম্যাচই জিততে হবে। আমাদের দলের সেটা করার ক্ষমতা আছে। কিন্তু তার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও সাহসী হতে হবে।”
কিন্তু দলের ব্যাটিং দেখে একেবারেই ‘সাহসী’ মনে হচ্ছে না। মিডল অর্ডার যখন-তখন ধসে পড়ছে। ফর্মে নেই ভেঙ্কটেশ আইয়ার, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিংরা। মইন ফের অতীতে ফিরছেন। এবার তাঁর গন্তব্য লখনউ ম্যাচ। তিনি বলছেন, “খুব বেশি দিনের কথা নয়, আমরা ২৪০ রান প্রায় তাড়া করে ফেলেছিলাম। ফলে আমরা মাঝেমধ্যে ভালোই খেলেছি। কিন্তু এটা ভাবা বোকামি হবে যে, আমরা খুব ভালো খেলছি।”
মইনের সংযোজন, “গত দুই ম্যাচে আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি, সেভাবে জেতা যাবে না। আমরা খুব বেশি চাপ নিতে চাই না। শুধু মাঠে গিয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে চাই। আমাদের হাতে যেমন সুনীল নারিনের মতো অতি আক্রমণাত্মক ব্যাটার আছে, তেমনই রাহানের মতো ধ্রুপদী ব্যাটারও আছে। অঙ্গকৃষও খুব ভালো খেলছে। তাছাড়া রিঙ্কু, ভেঙ্কটেশ, আমি, রাসেলরা তো আছিই। কিন্তু দল হিসেবে আমরা এখনও ভালো খেলতে পারিনি।” সেই ‘ভালো’ খেলার সময় ডালে পাতা দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ‘বোকামি’ কমিয়ে যত তাড়াতাড়ি ভালো খেলতে পারবেন, ততই মঙ্গল। পাঞ্জাব ম্যাচ থেকেই কি সেটা শুরু করতে পারবে কেকেআর?