সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কয়েকদিনের মধ্যে আত্মপ্রকাশ ঘটতে চলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন রাজনৈতিক দলের। যার প্রধান হচ্ছেন অন্তর্বর্তী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। কিন্তু তার আগেই ভাঙন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে? জল্পনা উসকে এই আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক নতুন ছাত্র সংগঠনের ঘোষণা করেছেন।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না আহ্বায়ক কমিটি তথা হাসনাত, সারজিস বা হান্নান মাসউদদের কেউই। এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে ভাঙনের ঝড় উঠেছে।
এই সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন ছাত্র সংগঠনের ঘোষণা করে এক সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, “নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য নতুন ছাত্র রাজনীতি দরকার। এজন্য নতুন ধারার লেজুড়বৃত্তিহীন ছাত্র রাজনীতিকে আমরা স্বাগত জানাই। যারা নতুন ছাত্রসংগঠনে যোগ দেবে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করে যাবে।” এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন সংগঠনের ছাত্ররা আরও জানান, “বৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে নতুন ছাত্র সংগঠনের কোনও সম্পর্ক না থাকলেও আদর্শিক জায়গা থেকে তাদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। রাজনৈতিক প্রয়োজনে তারা বৈষম্যবিরোধীদের ছাতার নিচ থেকে বের হয়ে আলাদা সংগঠন করছেন। এই সংগঠন কোনও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি করবে না। এর স্লোগান হবে স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট।”
এই বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরমুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, “এদিন আমাদের আহ্বায়ক কমিটির কোনও সদস্য ছিলেন না, সেটা ঠিক। তবে এখানে এ ধরনের কোনও দ্বন্দ্ব নাই। যেহেতু রাজনৈতিক দল গঠনের আগে ছাত্র সংগঠন গঠনের কথা বলা হয়েছে, তাই সবার সম্মতিতেই এটি হয়েছে।” বিশ্লেষকদের মতে, ছাত্ররা মুখে যাই বলুক না কেন নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দলের মাথা নাহিদ ইসলামকে করা নিয়ে নানা মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ক্ষমতার বণ্টন নিয়েই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে।