সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। এরই মধ্যে সোমবার থেকে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের আর্মেনিয়া হয়ে ইরান থেকে সরিয়ে আনা শুরু হয়েছে। রবিবারই ভারতের বন্ধু দেশ বলে পরিচিত ইজলায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF) মুখপাত্র এফি ডেফরিন জানিয়েছিলেন, ইরান থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওযার জন্য ভারতকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।
তেহরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সিরাজ ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্স কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছিল, তারা যেন ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা করে। ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও গত ১৫ জুন একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল, পড়ুয়াদের নিরাপদ স্থানে সরানোর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১০ হাজার ভারতীয় নাগরিক যাতে নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে পারেন তার জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিল তারা। ইরানের তরফে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পরই ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল কেন্দ্র। এবার সেই মতো ভারতীয়দের ফেরানোর পালা শুরু হল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইরানের উপর ইজরায়েলি হানার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ৯ দেশীয় সাংহাই কোঅপারেশেন অর্গানাইজেশন (এসসিও)। তবে এই বিবৃতি থেকে নিজেদের আলাদা করেছে ভারত। কারণ, ইজরায়েল ও ইরান দুই দেশই ভারতের বন্ধু দেশ। এই অবস্থায় নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, আলোচনা এবং কূটনৈতিক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ইজরায়েল এবং ইরানকে সংঘর্ষ থামানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। দুই দেশের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনা কমাতে দুপক্ষকে কূটনৈতিক আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। অবশ্য ভারতের এই পদক্ষেপকে স্বাভাবিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছে ইরান। নয়াদিল্লির প্রস্তাব মেনে ভারতীয়দের জন্য সীমান্ত খুলে সেটাই স্পষ্ট করে দিল তেহরান।
এদিকে ইজরায়েলের লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখনও পর্যন্ত ২২৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল রাতে তেহরান ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য তৈরি ছাত্রাবাসে হামলা হয়। এই ঘটনায় দুই কাশ্মীরি পড়ুয়া আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও তাঁদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলেই খবর। এরই মধ্যে এবার দেশে ফিরতে শুরু করল ভারতীয়রা।