স্টাফ রিপোর্টার: আর্থিক লেনদেনে কারচুপির অভিযোগে শোকজের পর এবার সাসপেন্ড করা হল সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসকে। বৃহস্পতিবার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি অতিরিক্ত সময় চেয়েছিলেন। যা দিতে রাজি হয়নি অ্যাপেক্স কাউন্সিল।
বৈঠকের পর সিএবির তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ছ’মাসের মধ্যে লেনদেন সংক্রান্ত সমস্ত রকম তদন্ত শেষ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিএবির কোনও কার্যকলাপ কিংবা পদে তিনি থাকতে পারবেন না দেবব্রত। আগামী ২৩ আগস্টের বৈঠকে এ নিয়ে পরবর্তী আলোচনা হবে। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নানা অভিযোগ, পালটা অভিযোগে রীতিমতো বিতর্কে পুড়েছে সিএবি। যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের পাশাপাশি কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী, সিএবি-র সঙ্গে জড়িত অম্বরীশ মিত্রের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল। গত ৬ আগস্ট সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকেই দেবব্রতকে শোকজ করা হয়েছিল। তাঁকে টিকিটের বকেয়া অর্থ পনেরো দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। দেবব্রতর বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত আরও অভিযোগ জমা পড়েছিল। যার ভিত্তিতে তাঁকে শোকজ করা হয়। জবাব দেওয়ার জন্য আরও কয়েকদিন সময় চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অ্যাপেক্স কাউন্সিল সাফ জানিয়ে দেয়, তা সম্ভব নয়। এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সিএবি কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ক্লাব থেকে তিনি নিজের নামে টাকা তুলে নিয়েছেন। তবে যেহেতু এটা ক্লাবের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার, তাই সিএবি এই বিষয়ে ঢোকেনি। কিন্তু কোষাধ্যক্ষের ক্লাব উয়াড়ি, সিএবির তরফে যে অনুদান পায়, তা আপাতত বন্ধ রাখা হয়। এদিকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছিল সিএবির সঙ্গে জড়িত অম্বরীশ মিত্রের বিরুদ্ধেও। কিন্তু অভিযোগকারী পরবর্তীতে অম্বরীশের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নেয়।