পার্থসারথি সিংহ: ৪ অক্টোবর, ২০২৫। শনিবার। রাত পোহালেই ‘শনি প্রদোষ’ ব্রত। যখন ত্রয়োদশী তিথিটি শনিবারে পড়ে, তখন এটিকে শনি প্রদোষ ব্রত বলা হয়। আর এই বিশেষ শুভ যোগে ভালো কিছুর আশা দেখছেন জ্যোতিষীরা। কারণ, শনি প্রদোষ ব্রতের উপবাস করলে সকল ঝামেলার অবসান হয়। এদিনে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আর্থিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন অনেকেই। এদিন আবার নীল রঙের গুরুত্ব অপরিসীম। শনিদেব নীল রং খুব পছন্দ করেন। তাই এদিন নীল পোশাক পরুন। এবং নীল ফুল অর্পণ করুন শনি দেবকে।
এবার ৪ অক্টোবর পালিত হবে শনি প্রদোষ ব্রত। যা ভগবান শিব ও মা পার্বতীর পুজোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই শুভ দিনে উপবাস রাখা হয় এবং সূর্যাস্তের কাছাকাছি সময়ে প্রদোষকালে শিবের বিশেষ পুজো করা হয়। ব্রত পালনের মাধ্যমে জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ করার জন্য প্রার্থনা করেন বহু ভক্ত।
শনি প্রদোষ ব্রত কী?
প্রদোষ ব্রত প্রতি মাসে দু’বার পালিত হয়। প্রতিমাসের শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষ উভয়ের ত্রয়োদশী তিথিতে। এটি হিন্দুধর্মের একটি অত্যন্ত পবিত্র উপবাস। যা ভগবান শিবের উপাসনার জন্য উৎসর্গীকৃত।
কেন শনি প্রদোষ ব্রত পালন করা হয়?
এই ব্রত পালনে ভগবান শিব ও শনিদেব প্রসন্ন হন। বলা হয়, ভক্তরা এই দিনে উপবাস রেখে, মন্ত্র জপ করে এবং প্রার্থনা করে সুখ ও শান্তি কামনা করেন।
শনি প্রদোষ ব্রতের সময়: ৪ অক্টোবর শনি প্রদোষ ব্রত পালিত হবে। পুজোর শুভ সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত।
এটি ভগবান শিবকে উৎসর্গীকৃত একটি উপবাস। যা হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি পক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ প্রতি মাসে দু’বার। সূর্যাস্তের আগের ও পরের প্রায় দেড় ঘণ্টার সময়কে ‘প্রদোষ কাল’ বলা হয়। যা শিবপুজোর জন্য অত্যন্ত শুভ। জ্যোতিষীরা বলছেন, তাই এই ব্রত আধ্যাত্মিক উন্নতি, সমৃদ্ধি এবং জীবন থেকে বাধা দূর করতে সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়। আর ত্রয়োদশী তিথিটি শনিবার হওয়াতে প্রদোষ ব্রতের তাৎপর্য ও উদ্দেশ্য অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হচ্ছে। যেমন–
উপবাস: ভক্তরা সাধারণত সকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত বা ২৪ ঘণ্টা উপবাস পালন করেন।
শুভ সময়: সূর্যাস্তের ঠিক আগের এবং পরের দেড় ঘণ্টা অর্থাৎ প্রায় তিন ঘণ্টা সময় ‘প্রদোষ কাল’, যা শিবপুজোর জন্য অত্যন্ত শুভ।
সাত্ত্বিক আহার: উপবাসের সময় শস্য, ডাল, লবণ, পিঁয়াজ ও রসুনের মতো খাবার এড়িয়ে সাত্ত্বিক খাবার (যেমন ফল, দুধ) গ্রহণ করা যেতে পারে।
পুজো ও আচার: এই দিনে ভক্তরা রুদ্রাক্ষ এবং বিভূতি ধারণ করে, অভিষেক, চন্দন কাঠ, বেলপাতা ও সুগন্ধি নিবেদন করে শিবের পুজো করেন।
জল পান: উপবাসের সময় জল পান করা যেতে পারে।
শিবের উপাসনা: প্রদোষ ব্রত ভগবান শিবের প্রতি ভক্তি নিবেদনের একটি বিশেষ উপায়।
প্রদোষ ব্রত কখন পালন করা হয়?
প্রদোষ ব্রত প্রতি চান্দ্র পাক্ষিকের ত্রয়োদশী তিথিতে পালন করা হয়, অর্থাৎ মাসে দু’বার।সাধারণত কৃষ্ণপক্ষ এবং শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
হিন্দুধর্মে প্রদোষ উপবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। শিবপুরাণে এই উপবাসের মহিমা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
১) আধ্যাত্মিক উন্নতি: ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে এই ব্রত পালনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি ঘটে।
২) সমৃদ্ধি ও বাধা দূরীকরণ: এটি সমৃদ্ধি আকর্ষণ করে এবং জীবনে আসা বিভিন্ন বাধা দূর করে।
শিবলিঙ্গের অভিষেক: পুরোহিত এবং জ্যোতিষীরা বলছেন, এই দিনে গঙ্গাজল, দুধ এবং মধু দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করুন। ভগবান শিব বেলপাতা এবং ধুতুরা খুব পছন্দ করেন, তাই শিবলিঙ্গে এগুলি নিবেদন করুন। এই প্রতিকার শনির দোষ থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক হয়। ঋণ থেকে মুক্তি পেতে শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল এবং গোটা চাল নিবেদন করুন।
শনি প্রদোষ ব্রতের দিন শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ভগবান শিবের পুজো করুন। এটি করলে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করতে এই দিনে কালো তিল এবং সরষের তেল দান করুন। আবার শিবলিঙ্গে জাফরান অর্পণ করলে ঘর থেকে দারিদ্র দূর হয় এবং পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি বিরাজ করে। এই উপবাস পালন করলে সকল দুঃখের অবসান হয়। এই দিনে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আপনি আর্থিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
হিন্দুধর্মে প্রদোষ উপবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। শিবপুরাণে এই উপবাসের মহিমা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
১) আধ্যাত্মিক উন্নতি: ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে এই ব্রত পালনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি ঘটে।
২) সমৃদ্ধি ও বাধা দূরীকরণ: এটি সমৃদ্ধি আকর্ষণ করে এবং জীবনে আসা বিভিন্ন বাধা দূর করে।
শিবলিঙ্গের অভিষেক: পুরোহিত এবং জ্যোতিষীরা বলছেন, এই দিনে গঙ্গাজল, দুধ এবং মধু দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করুন। ভগবান শিব বেলপাতা এবং ধুতুরা খুব পছন্দ করেন, তাই শিবলিঙ্গে এগুলি নিবেদন করুন। এই প্রতিকার শনির দোষ থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক হয়। ঋণ থেকে মুক্তি পেতে শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল এবং গোটা চাল নিবেদন করুন। শনি প্রদোষ ব্রতের দিন শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ভগবান শিবের পুজো করুন। এটি করলে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করতে এই দিনে কালো তিল এবং সরষের তেল দান করুন। আবার শিবলিঙ্গে জাফরান অর্পণ করলে ঘর থেকে দারিদ্র দূর হয় এবং পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি বিরাজ করে। এই উপবাস পালন করলে সকল দুঃখের অবসান হয়। এই দিনে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আপনি আর্থিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।