সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে নদীর পাড়ের বিভিন্ন অংশে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের এক ৫০ বছরের মহিলার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যোগীরাজ্যের বালিয়া জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার নাম মায়া দেবী। বাহাদুরপুরের বাসিন্দা ওই মহিলার সঙ্গে অনিল যাদব নামে এক ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, দু’জনে মিলে চক্রান্ত করেন প্রাক্তন সেনাকর্মী দেবেন্দ্র কুমারকে হত্যা করার। খুনের পর দেহটি ৬ টুকরো করা হয়। এই কাজে সাহায্য করায় অভিযুক্ত সতীশ যাদব নামের এক ব্যক্তি এবং মিথিলেশ নামে গাড়ির চালক। সকলকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
গত ১০ মে খারিদ গ্রামে নদীর ধারে নিহত দেবেন্দ্র কুমারের দেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার হতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। এরপর একে একে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দেহাংশ উদ্ধার হয়। তবে এখনও উদ্ধার হয়নি মাথাটি। শেষখবর পাওয়া খবর পর্যন্ত ঘাঘরা নদীর ধারে তা খোঁজার জন্য একটি দল তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই হত্যাকাণ্ড মুসকান কাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। গত ৪ মার্চ স্বামী সৌরভ রাজপুতকে খুন করে দেহ ১৫ টুকরো করে ড্রামে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে স্ত্রী মুসকান রাস্তোগিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই অপরাধে অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্লাও। পুলিশের দাবি, প্রেমিক সাহিলের সঙ্গে মিলে স্বামী সৌরভকে মাদক মিশ্রিত পানীয় খাওয়ায় অভিযুক্তরা। এরপর ঘুমন্ত সৌরভের বুকে ছুরি বসিয়ে খুন করে দুজনে। এই ঘটনার খবর চাঞ্চল্য ফেলেছে গোটা দেশে।