আরসিবির বিরুদ্ধে দুরন্ত রাহুল! কোহলিদের উড়িয়ে অনায়াসে জিতল দিল্লি

আরসিবির বিরুদ্ধে দুরন্ত রাহুল! কোহলিদের উড়িয়ে অনায়াসে জিতল দিল্লি

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৬৩-৭ (ফিল সল্ট ৩৭, টিম ডেভিড ৩৭, নিগম ১৮-২)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৬৯-৪ (রাহুল অপরাজিত ৯৩, ত্রিস্তান অপরাজিত ৩৮, ভুবনেশ্বর ২৬-২)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৬ উইকেটে জয়ী।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুতে ঝড় তুলেও বড় রান তুলতে না পারা। তারপর সেই রান নিয়ে লড়তে নেমে শুরুতেই সাফল্য। কিন্তু সেই সাফল্যকে ধরে রাখতে না পারা। বৃহস্পতিবাসরীয় সন্ধ্যায় দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ঘরের মাঠে আরসিবির বিশ্রী হারের কাঁটাছেঁড়া করতে বসলে এই কয়েকটি বাক্যেই বোধহয় তা প্রকাশ করে ফেলা যায়। কেএল রাহুলের দুরন্ত ব্যাটিং ও বেঙ্গালুরুর জঘন্য হারের সাক্ষী থাকল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম।

এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু এরপরই মনে হচ্ছিল সেই সিদ্ধান্ত বোধহয় ঠিক হল না। কেননা শুরুতেই ফিল সল্ট ঝড় তুলে দেন। তিনি যখন আউট হন তখন স্কোর ৬১। অথচ খেলা হয়েছে মাত্র ৩.৫ ওভার। বিরাট কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে তিনি রানআউট না হলে হয়তো স্কোর আরও দ্রুত এগোত। কিন্তু তাঁর ১৭ বলে ৩৭ রানের (৪x৪, ৩x৬) ইনিংসটি আচমকাই থেমে যাওয়ায় যে হ্যাঁচকা টানে থেমে যায় আরসিবির দুরন্ত ব্যাটিং এক্সপ্রেস। দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন দেবদত্ত পাড়িক্কল (১), বিরাট কোহলি (২২), লিয়াম লিভিংস্টোন (৪), জীতেশ শর্মা (৩)। যদিও অধিনায়ক রজত পাতিদার শেষদিকে লড়াই করেন। কিন্তু ২৩ বলে ২৫ রান মোটেই টি২০-র ক্ষেত্রে কার্যকরী নয়। আট নম্বরে নামা টিম ডেভিডের ২০ বলে ৩৭ রানের ইনিংস না হলে আরসিবি দেড়শোও পেরত কিনা তা নিয়ে তর্ক চলতে পারে। শেষ পর্যন্ত বিরাটরা থামেন ৭ উইকেটে ১৬৩ রানে।

শেষপর্যন্ত আরসিবি খুব বেশি স্কোর খাড়া করতে না পারায় মনে করা হচ্ছিল দিল্লি হয়তো অনায়াসেই ম্যাচটা জিতে নেবে। কিন্তু শুরুতেই পরপর আঘাত হানেন বেঙ্গালুরুর বোলাররা। মাত্র ৩০ রানেই চলে যায় ৩ উইকেট। আউট হন ফ্যাফ ডুপ্লেসি (২), ম্যাকগার্ক (৭) ও অভিষেক পোড়েল (৭) । অক্ষর প্যাটেল চেষ্টা করছিলেন বটে। কিন্তু তিনিও ফেরেন মাত্র ১৫ রানে। দাঁতে দাঁতে চিপে লড়াই শুরু করেন কে এল রাহুল। কিন্তু ক্রমে চেপে বসা ফাঁস যেন আলগা হচ্ছিল না। কিন্তু ত্রিস্তান স্টাবসের সঙ্গে জুটি বেঁধে ধীরে ধীরে শুরু হয় খেলা ঘোরানোর খেলা। যেহেতু পুঁজি খুব বেশি নয়, তাই আরসিবি ক্রমেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে থাকে। কেএল রাহুলও ধীরে ধীরে ইনিংসের গতি বাড়াতে থাকেন। খেলা যত ছোট হয়ে আসতে থাকে হাত খোলেন ত্রিস্তানও। আর ততই বোঝা যায়, বিরাটদের পক্ষে কাজটা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু কিছুতেই যেন এদিনে রাহুলদের আটকাতে পারার মতো কোনও ‘ওষুধ’ বেরই করতে পারল না দিল্লি। আর রাহুলও অনায়াসে চার-ছয়ের বন্যা বইয়ে অনায়াস জয় এনে দিলেন দলকে।৫৩ বলের অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংস সাজানো হাফ ডজন ছক্কা ও সাতটি বাউন্ডারিতে। উলটো দিকে ত্রিস্তানের ২৩ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটিকেও অবশ্যই নম্বর দিতে হবে। এই দু’জনের ব্যাটিংয়ের জোরে এত অনায়াসে জিততে পারল দিল্লি। তেরো বল বাকি থাকতে থাকতেই।

         



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *