সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের একের পর এক বায়ুসেনা ঘাঁটি ধ্বংস করে নিজের মারণ ক্ষমতা ইতিমধ্যেই দেখিয়েছে ব্রহ্মস। পাকিস্তানের পর এবার চিনকে নজরে রেখে সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র (শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির) ব্রহ্মসকে আরও শক্তিশালী করতে উদ্যত হল ভারত। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রের তরফে নেওয়া হয়েছে ৫ দফা কর্মসূচি।
ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে মারণ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’। এই নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে দুই দেশের দুই নদী বিখ্যাত নদী ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভা। ভারতের ব্যবহৃত ব্রহ্মস সামরিক ট্রাক, যুদ্ধবিমান, ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্রের গতি শব্দের চেয়ে তিনগুণ। তবে স্থলভূমি ও যুদ্ধজাহাজ থেকে যে ব্রহ্মস উৎক্ষেপণ করা হয় তার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪০০ কিমি। ডুবোজাহাজে যে ব্রহ্মস ব্যবহার হয় তার তুলনায় এই পাল্লা কিছুটা কম। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে যে ৫ দফা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেখানে ব্রহ্মসের পাল্লা ও গতি দুটোই বাড়ানো হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, নয়া সংস্করণে ব্রহ্মসের পাল্লা বাড়িয়ে করা হবে ৮০০ কিলোমিটার। এবং বর্তমানে সুপারসনিক থেকে এটিকে করা হবে হাইপারসনিক অর্থাৎ শব্দের চেয়ে ৫ গুণ বা তারও বেশি গতিতে ছুটবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। ইতিমধ্যেই রাশিয়া হাইপারসনিক ব্রহ্মস মার্ক-২ ব্যবহার করতে শুরু করেছে। যা ভারতের হাতে এলে পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনের একটা বড় অংশ চলে আসবে ব্রহ্মসের নাগালে।
শুধু তাই নয় জানা যাচ্ছে, বর্তমানে বায়ুসেনা যে ব্রহ্মস ব্যবহার করে তার ওজন ১২০০ কিলোগ্রাম এবং স্থল ও ডুবোজাহাজে ব্যবহৃত হয় ৩০০০ কেজির ব্রহ্মস। নয়া প্রকল্পে সেই ওজন কমিয়ে আনা হবে ১০০০ কেজিতে। যার ফলে তেজস বা রাফালের মতো বিমান থেকেও ব্যবহার করা যাবে ব্রহ্মস। পি-৭৫১ কর্মসূচিতে ডুবোজাহাজে ব্যবহৃত ব্রহ্মসকে আরও উন্নত করা হবে এই প্রকল্পে। এখানেই শেষ নয়, নয়া প্রকল্পে ব্রহ্মসে আরও শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার ফলে এর মারণ ক্ষমতা আরও বেড়ে উঠবে। প্রায় সাড়ে ৮ মিটার লম্বা ব্রহ্মস ৩০০ কেজির বিস্ফোরক বহন করতে পারে। নয়া প্রকল্পে এর ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।