সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লন্ডনের মাটিতে সম্প্রতি বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। এই বৈঠকের পরই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন দুই নেতা। এই ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের জামাত ই ইসলামি শিবির। বিদেশের মাটিতে ইউনুস ও তারেকের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের পর ক্ষুব্ধ জামাতের অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করছেন, যা তাঁর নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যকলাপে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করে শনিবার সকালে বাংলাদেশ জামাত গোষ্ঠীর তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক স্বাভাবিক ঘটনা বলেই তারা মনে করে। এর আগে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেছেন। তবে নির্বাচনের দিন এগিয়ে আনার বিষয়টিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জামাত। তাদের অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন। তাঁর এই ঘোষণার পর লন্ডনে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সেই ভোটের সময় এগিয়ে আনা এবং যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করার বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিপন্থী বলে জানানো হয়েছে। জামাতের দাবি, এর মাধ্যমে একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন ইউনুস, যা তাঁর নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছে। দেশে ফিরে এসে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে মতামত প্রকাশ করা উচিত ছিল তাঁর।
উল্লেখ্য, লন্ডনে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ইউনুস জানিয়েছিলেন, ‘আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন। তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।’ বিএনপির শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর এভাবে হঠাৎ ভোটের সময় বদল প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সব থেকে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার পর এখন করার পর তারেকের রাস্তা পরিষ্কার। নির্বাচনে যদি বিএনপি জিততে পারে তাহলে প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে তারেকই প্রধানমন্ত্রী হবেন। কারণ খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অবস্থা তাতে ভোটে লড়াই করা সম্ভব নয়। তাই বিএনপিতে ঝুঁকেছেন ইউনুস। যার জেরে ক্ষুব্ধ জামাত।