সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি ও সংঘ পরিবার নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের। মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র অর্থাৎ, নাতির ছেলে তুষার গান্ধীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাল গেরুয়া শিবির।
সম্প্রতি কেরলের তিরুবনন্তপুরমের নেয়াত্তিষ্কারে প্রয়াত গান্ধীবাদী পি গোপীনাথন নায়ারের একটি মূর্তি উন্মোচনের সময়ে বিজেপি এবং আরএসএস সম্পর্কে তুষার গান্ধী বলেছিলেন, দুই ‘বিপজ্জনক এবং ছলনাময় শত্রু’ কেরলে প্রবেশ করেছে। আরএসএস-কে তিনি ‘বিষাক্ত’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন। এর পর তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি-আরএসএস কর্মীরা। তার পরও শুক্রবার, তুষার গান্ধী জানিয়েছেন, ওই বক্তব্য তিনি প্রত্যাহার করবেন না বা তার জন্য ক্ষমা চাইবেন না। এই প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাল গেরুয়া শিবির।
বুধবার মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তিরুবনন্তপুরমের সভায় জানান, কেরলের দুই জোট এলডিএফ এবং ইউডিএফের দায়িত্ব হল বিজেপি এবং আরএসএসকে রুখে দেওয়া। তুষারের বক্তব্য ছিল, “বিজেপিকে আমরা হারাতে পারি। তবে আরএসএস হল বিষ। সেই বিষ ছড়িয়ে পড়া থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সংঘের আদর্শ আমাদের সিস্টেমে ঢুকে গেলে সব ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।” তিনি স্পষ্ট বলে দেন, “আরএসএস ব্রিটিশদের থেকেও ভয়ঙ্কর। এদের হাতে ক্ষমতা গেলে আমাদের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে যাবে।”
তুষারের ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে গেরুয়া শিবিরের তরফে। তুষারের গাড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখান বিজেপি ও আরএসএসের কর্মীরা। এমনকী গান্ধী প্রপৌত্রের গ্রেপ্তারির দাবিও জানানো হয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরনের বক্তব্য, তুষার গান্ধীজির নাম ভাঙিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা উচিত। যদিও তুষার এত কিছুর পরও নিজের মন্তব্যে অনড়। শুক্রবার কোচির কাছে আলুভায় এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তুষার সাফ বলেছেন, ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করা বা তার জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই। এভাবেই ‘গদ্দার’দের মুখোশ খুলে দেবেন তিনি। তুষারের আশঙ্কা গান্ধী প্রপিতামহ মহাত্মা গান্ধীর মতো তাঁকেও গুলি করা হতে পারে।