সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুশ তেল কেনার কারণে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর শুল্কনীতি নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। যার ধাক্কায় তলানিতে ভারত-আমেরিকার সুসম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতেই ভারতের প্রতি ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মার্কিন বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো।
সোমবার আমেরিকার একটি টেলিভিশন শো-তে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভারতকে কোনও একটা সময়ে বাণিজ্য় নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে সমঝোতায় আসতেই হবে। নচেৎ নয়াদিল্লির জন্য তা মোটেও ভালো হবে না। হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি ভারতকে নাভারোর তোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে রক্তচোষা বাদুড়ের মতো আমেরিকাবাসীকে শুষে নেয় ভারতের অন্যায্য বাণিজ্যনীতি। ব্রিকস্ গোষ্ঠীভূক্ত দেশগুলির প্রতি পিটার নাভারোর আরও অভিযোগ, ব্রিকস জোটভুক্ত সবকটি দেশ এক অপরকে ঘৃণা করে এবং হত্যা করে।
ভারত সরকার যে তাঁর প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করে তা স্বীকার করে ভারতকে ‘শুল্কের মহারাজা’ আখ্যাও দিয়েছেন মার্কিন বাণিজ্য উপদেষ্টা। অবশ্য নাভারো স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতের প্রতিই আমেরিকা সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করেছে। সেটি মোকাবিলা করার কথাও বলেছেন তিনি। নয়াদিল্লিকে হুমকি দিয়ে নাভারোর সাফ বার্তা, ”কোনও একসময় ভারতকে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার জন্য এগিয়ে আসতেই হবে। যদি না আসে তবে দেশটিকে রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে আঁতাত করে চলতে হবে, আর সেটা ভারতের পক্ষে মোটেও ভালো হবে না।”
পাশাপাশি নাভারো আরও জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে ভারত কোনওদিনই বেশি পরিমাণে তেল কেনেনি। রুশরা ইউক্রেন আক্রমণ করার পরই সেদেশ থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছে ভারত। রাশিয়ার তেল ব্যবসায়ীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে মুনাফা করে। আর তার জন্য মার্কিন করদাতাদের বেশি অর্থ দিতে হয়। ভারতের প্রতি পিটার নাভারোর সাফ বার্তা, ভারতকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। তবেই শান্তি ফিরবে। শান্তির দায়িত্ব খানিকটা নয়াদিল্লিকেই নিতে হবে। রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চিনের প্রসঙ্গে পিটার নাভারো জানিয়েছেন, চিনের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।