সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষের মাঝেই এবার কড়া হুঁশিয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। রবিবার ট্রাম্প জানালেন, ইরান হামলার ঘটনায় আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। তারপরও যদি ইরান আমেরিকায় হামলার সাহস দেখায়, তবে ওদের কপালে দুঃখ রয়েছে। এমন শাস্তি দেওয়া হবে যে ইরান স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারবে না।
শুক্রবার রাতের পর শনিবারও ইরানের মাটিতে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। পালটা জবাব দিয়েছে ইরানও। এই সংঘর্ষের মাঝেই রবিবার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ট্রুথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখেন, ‘আজ রাতে ইরানের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাতে আমেরিকার কোনও হাত নেই। তারপরও যদি ইরান আমেরিকার উপর কোনওরকম হামলা চালায় তাহলে আমেরিকা সর্বশক্তি দিয়ে ইরানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। ইরানকে এমন শাস্তি দেব যে ওরা তা স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না।’ শুধু তাই নয় ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, আমেরিকা ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলা এই সংঘর্ষ থামাতে পারে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু করার পর সোশাল মিডিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘এই হত্যা ও হামলা রোখার সময় এখনও রয়েছে ইরানের হাতে। সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার আগে এবং একসময় পরিচিত ইরান সাম্রাজ্যকে টিকিয়ে রাখতে ইরানকে অবশ্যই চুক্তি করতে হবে।’ শুধু তাই নয় ট্রাম্প আগেই জানিয়েছিলেন, ইজরায়েল যে ইরানে হামলা চালাবে সে তথ্য আগে থেকেই ছিল তাদের কাছে। সেই সূত্র ধরেই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয় অসাধারণ হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। আমরা ইরানকে অনেক সুযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু ওরা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর যেটা হওয়ার সেটাই হয়েছে। তবে এটা কেবল শুরু, আরও অনেক কিছু হতে বাকি।’ তবে হামলায় যে আমেরিকার কোনও যোগ নেই সে কথাও স্পষ্ট করে দেন ট্রাম্প।
এদিকে এই ডামাডোলের মাঝেই রবিবার ওমানে আমেরিকা ও ইরানের নয়া পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। যা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ইরানের মাটিতে চলা ধ্বংসযজ্ঞের নেপথ্যে আমেরিকার হাত রয়েছে বলে মনে করছে তেহরান। সেই আশঙ্কা থেকে ইরান যাতে তাদের উপর হামলা না চালায় তাই আগেভাবে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল আমেরিকা।