সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর বদলে দিয়েছে ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। হাতেগরম উদাহরণ ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। প্রবল পাকিস্তান বিরোধিতায় তিনি এখন শিরোনামে। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময় পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ায় তুরস্ক সরকারেরও কড়া সমালোচনা করেন। এই অবস্থায় ক্রমাগত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিদ্রুপ ও কটূক্তির শিকার হচ্ছেন ওয়েইসি। এবার রসিকতার সুরে প্রত্যাঘাত করলেন হায়দরাবাদের এই জনপ্রিয় নেতা। কী বলেছেন তিনি?
মজার ছলে ওয়েইসি বলেন, “আমি পাকিস্তানের দুলে ভাই (শ্যালক), আর কেউ নয়, আমিই। ওরা আর কোনও স্পষ্টবাদী, সুদর্শন প্রতিপক্ষ খুঁজে পায়নি। ভারত থেকে শুধু আমাকেই বেছে নিয়েছে। ” এখানেই না থেমে পাক নাগরিকদের প্রতি ওয়েইসির পরামর্শ, “আমায় শুনে যান, দেখে যান। তাতে আপনাদের বুদ্ধি বাড়বে। মগজের মলিনতা দূর হবে। অজ্ঞানতা নাশ হবে।” বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রবল সমালোচক হিসাবে পরিচিত ওয়েইসি কেন্দ্রের সাত সদস্যের দলে ঠাঁই পেয়েছেন, যাঁরা বাইরের দুনিয়ায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার বিষয়টি পর্দাফাঁস করবেন।
আসলে ইদানীংকালে বার বার পাকিস্তানের বিরোধিতায় সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে মিম প্রধানকে। কখনও মসজিদের বাইরে বিলি করেছেন কালো আর্মব্যান্ড, কখনও বা হুঙ্কার ছেড়েছেন ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ, হিন্দুস্থান জিন্দাবাদ’। কিছুদিন আগেও বিজেপির ‘বি-টিম’ বলে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁকে, এখন সেই ওয়েইসিই বিরাগভাজনদের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন।
শনিবার তুরস্ককে দ্রুত অবস্থান পুনর্বিবেচনায় বার্তা দিয়ে হায়দরাবাদের সাংসদ বলেন, ‘‘মনে রাখবেন পাকিস্তানের চেয়ে বেশি মুসলিম ভারতে বসবাস করেন। ২২ কোটি মুসলিম ভারতের সম্মাননীয় নাগরিক। তাই অন্ধ ভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন করবেন না।’’ ভারতের সঙ্গে তুরস্কের ‘গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্ক’ এবং সে দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় নয়াদিল্লির সহায়তার কথাও মনে করিয়ে দেন ওয়েইসি।