‘আমাদের মুখে অন্ন দিচ্ছেন’, মুখ্যমন্ত্রীর মন্দির তৈরির উদ্যোগে আবেগপ্রবণ দিঘার চাওয়ালা

‘আমাদের মুখে অন্ন দিচ্ছেন’, মুখ্যমন্ত্রীর মন্দির তৈরির উদ্যোগে আবেগপ্রবণ দিঘার চাওয়ালা

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


রঞ্জন মহাপাত্র, দিঘা: তিনি জননেত্রী, তাঁর আশীর্বাদের হাত রাজ্যবাসীর মাথায়। অনেকে মনে করেন, তিনি ‘বাংলার মা’। দিঘায় জগন্নাথধাম উদ্বোধনের আগে ফের সেই আবেগই উসকে উঠল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তাঁরা মনে করছেন, মন্দির উদ্বোধনের পর ব্যবসা আরও বাড়বে। দরিদ্র মানুষজনের জন্য ভাবনাচিন্তা করেই মুখ্যমন্ত্রীর এমন উদ্যোগ, তেমনটাই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এসবের মাঝে চাওয়ালা পরিমল জানার স্মৃতিতে ভেসে উঠল ৭ আগেকার সেই দিনটি। তাঁর দোকানে ঢুকে নিজে হাতে চা বানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই তাঁর দোকানের কথা ছড়িয়ে যায় চারপাশে। ফুলেফেঁপে ওঠে ব্যবসা। আজ পরিমলবাবু বলছেন, ‘উনি বাংলার মা, আমাদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন।’

সেটা ২০১৮ সাল। দিঘা গিয়ে হাঁটতে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করেছিলেন পরিমল জানার দোকানে। তখন ছোট্ট একফালি দোকান ছিল তাঁর। সেখানেই নিজে হাতে চা বানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলকে সেই চা খাইয়েওছিলেন। ‘দিদি’কে কাছে পেয়ে সেদিন আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন পরিমলবাবু। মমতার হাত ধরে নিজের ভবিষ্যৎটা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, সামান্য ভাঙাচোরা দোকান, একটা স্থায়ী দোকান চাই। তাঁর কথা রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটা পাকা দোকানঘর হয়েছে পরিমলবাবুর। চায়ের পাশাপাশি নানা স্ন্যাকসও থাকে এই দোকানে। দিন বদলে গিয়েছে পরিমলের।

সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর আসার ছবি এভাবে বাঁধিয়ে দোকানের সামনে রেখেছেন পরিমল জানা। ছবি: শুভ্ররূপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে সাতটি বছর। সুদিনের সেই কাণ্ডারিকে ভোলা দূর অস্ত, পরিমলবাবু নতুন দোকান ‘রাধারানী টি স্টলে’র সামনে এখন সাত বছর আগেকার সেই দিনটির একটা বড় ছবি বাঁধিয়ে রাখা। তাঁর বিশ্বাস, সেটাই পর্যটকদের টেনে আনে। এখন দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে সেদিনের কথা বারবার মনে করছেন পরিমলবাবু। ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’কে তিনি বলছেন, ”এখানকার যত গরিব মানুষজন, তাঁদের ব্যবস্থা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কে কোথায় চলে যেত! উনি তো আমাদের জন্য ভেবেই এসব করেছেন। এই জগন্নাথ মন্দির হওয়ায় আমরা খুব খুশি। দিঘায় এতদিন যত পর্যটক আসতেন, এবার তার চেয়ে অনেক বেশি লোকজন আসবেন। আমার দোকানই শুধু নয়, এখানে সকলের ব্যবসা বাড়বে।”

এবার কি আসবেন মুখ্যমন্ত্রী? এর উত্তরের আশাজড়ানো গলায় পরিমলবাবু বললেন, ”উনি তো এদিক দিয়েই গিয়েছেন। আমি পথের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এখন অপেক্ষা করে আছি, কবে আবার উনি আমার দোকানে আসবেন। আমার ব্যবসা তাহলে আরও বাড়বে।” এটাই মমতা, এটাই মমতার প্রতি আমজনতার অনুভব।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *