সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সামরিক কুচকাওয়াজ নিয়ে প্রশংসার ভাঁজেই কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সাফ দাবি, শুধুমাত্র তাঁকে দেখানোর জন্যই ওই বিশাল কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছে চিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ও জাপানের বিরুদ্ধে চিনের যুদ্ধজয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার বেজিংয়ে তিয়ানআনমেন স্কোয়ারে সামরিক কুচকাওয়াজের আওয়াজের আয়োজন করা হয়। যে অনুষ্ঠানের মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা কিম জং উনকে। প্রায় ৫০হাজার অতিথি-অভ্যাগতদের সামনে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে চিনা সেনা। দূরগামী হাইপারসোনিক মিসাইলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক ড্রোন ও রোবট নেকড়েও দেখা গিয়েছে চিনা সেনার কুচকাওয়াজে।
চিনের এই বিজয় উৎসব নিয়ে আগেই কটাক্ষ শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের গলায়। তিনি বলেছিলেন, ”চিনের বিজয় ও গৌরব ফেরানোর জন্য় বহু আমেরিকান মারা গিয়েছেন, আমি আশা করি তাঁদের সাহসিকতা ও ত্যাগকেও যথার্থ সম্মান জানানো হবে।” বৃহস্পতিবার আক্রমণ আরও এক ধাপ চড়িয়ে ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে জানান, ”আমি ভেবেছিলাম এটা দারুণ একটি অনুষ্ঠান। পরে বুঝতে পেরেছি আমাকে দেখানোর জন্যই এই কুচকাওয়াজ করা হয়েছে।” অনুষ্ঠানটি যে তিনি দেখেছেন তাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
এদিকে বিজয় উৎসবের মঞ্চ থেকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের উদ্দেশেই তোপ দেগে বলেন, ”চিন কখনওই কোনও গুন্ডামিতে ভয় পায় না। চিন সবসময় এগিয়ে থাকবে।” চিনকে ‘অপ্রতিরোধ্য’ আখ্যা দিতেও ভোলেননি জিনপিং।
প্রসঙ্গত, ১৯৩০-৪০ দশকে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে জাপান ও চিন। সেই যুদ্ধে বহু চিনা সেনা শহিদ হন। পরবর্তীকালে ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর পার্ল হারবারে জাপানি বিমান হানায় আমেরিকার বহু সেনা মারা গিয়েছিলেন। ধ্বংস হয় চার’টি যুদ্ধজাহাজ ও দু’টি জাহাজ। ধ্বংস হয়ে যায় ১৯৯টি বিমান। মার্কিন সেনার সেই ত্যাগকে উল্লেখ করেই চিনা কুচকাওয়াজকে কটাক্ষ করেছিলেন।