সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি টেন্ডারে মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণের পর এবার আবাস যোজনাতেও সংখ্যালঘু সংরক্ষণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের। যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক কন্নড় রাজ্যে।
এমনিতেই কর্নাটকে সরকারি টেন্ডারের ক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। বৃহস্পতিবার কর্নাটক বিধানসভায় কর্নাটকের আবাসন মন্ত্রী জামির আহমেদ খান বিধানসভায় একটি বিল পেশ করেন। ওই বিলে বলা হয়, রাজ্যের সংখ্যালঘুদের জন্য বিভিন্ন আবাস নির্মাণ প্রকল্পে সংরক্ষণ ১০ শতাংশ থেকে বাড়িতে ১৫ শতাংশ করা হবে। ভোটাভুটিতে বিলটি পাশ হয়ে যায়। মুসলিম, খ্রিস্টান-সহ অন্য সব সংখ্যালঘু ওই বিলের সুবিধা পাবেন। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের কথায়, “এই বিল গরিব মানুষের কথা ভেবে আনা। রাজ্যের সংখ্যালঘুরা অনেকাংশে পিছিয়ে পড়া। তাই তাঁদের এর আওতায় আনা হয়েছে।”
এর আগে গত ২১ মার্চ কর্নাটক বিধানসভায় পাশ হয়েছে মুসলিম সংরক্ষণ বিল। যার ফলে কর্নাটকে সরকারি চুক্তির ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ পাবে সংখ্যালঘুরা। প্রথামাফিক বিলটি যায় রাজ্যপালের দরবারে। যদিও বিলটিতে সই করেননি রাজ্যপাল। সেটিকে তিনি পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতির দরবারে। এই বিলের ক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই বিলটির প্রতিবাদে সরব হয়েছে।
মুসলিম ইস্যুতে কর্নাটকে কংগ্রেস ও বিজেপির অবস্থান সম্পূর্ণ উলটো মেরুতে। বিজেপি শাসনে কর্নাটকে সরকারি বরাতে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ তুলে দেওয়া হয়। পালটা কংগ্রেস জানায়, ক্ষমতায় এলে ফের সংরক্ষণ ফিরিয়ে আনা হবে। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। এর পরই সংখ্যালঘুদের মনজয়ে উঠেপড়ে লাগে সরকার। এখনও সেই চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছেন সিদ্দারামাইয়ারা। আর বিজেপি প্রতিবাদ করছে। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এই বিলটি নিয়েও প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “এভাবে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ অবৈধ। সংবিধান বিরোধী।”