সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবর্জনা থেকে সোনা তৈরির মেশিনের খোঁজ পেলেন উত্তরপ্রদেশের পশুপালন মন্ত্রী ধর্মপাল সিং! তাঁর দাবি, আবর্জনা থেকে সোনা তৈরি করবে বিশেষ মেশিন। আর সেই মেশিন বসানো হবে মিরাটে। যোগীর মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে। বিরোধী শিবিরের কটাক্ষ, জনতাকে বোকা বোঝানোর সব সীমা পার করেছেন যোগীর মন্ত্রিসভার ওই মন্ত্রী।
ধর্মপাল সিংয়ের এহেন মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যেখানে মন্ত্রী ধর্মপাল সিংকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ”নর্দমা পরিষ্কার করার সময় ময়লা তুলে তা সেখানেই ফেলে রাখা হয়। ওই ময়লা পরে আবার নর্দমায় চলে যায়। এই বর্জ্যের উপযুক্ত ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা থাকা উচিত। আমাদের কাছে এমন একটি পরিকল্পনা রয়েছে যেখানে এইসব বর্জ্যকে সোনায় পরিণত করা যাবে। সোনা বানানোর সেই মেশিন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও সেই কাজে ছোট্ট একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা ঠিক হয়ে গেলেই মিরাটে বসানো হবে মেশিনটি।”
যোগীর মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে। ধর্মপালকে কটাক্ষ বাণে বিদ্ধ করেছে বিরোধী শিবির। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, ‘মন্ত্রী মশাইয়ের কাছে অনুরোধ তিনি প্রথমে কনৌজে গরুর দুধ বিক্রির ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে চাষিদের আয়বৃদ্ধির ব্যবস্থা করুন। তারপর না হয় আবর্জনা থেকে সোনা তৈরি করবেন।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “বিজেপির নেতারা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন কে কতবড় মিথ্যা বলতে পারেন। ওনার বক্তব্যতো বাস্তবে সত্য নয়, ফলে হয়ত উনি ইঙ্গিতে এটা বলতে চেয়েছেন ওই আবর্জনার চুক্তি করে সোনার মূল্যে তার কমিশন চান বিজেপি নেতারা। সততার সঙ্গে এমন দুর্নীতি স্বীকার করার জন্য ওনাকে ও ওনার মাথাকে ধন্যবাদ।”
অবশ্য বিজেপি নেতাদের সোনা আবিস্কারের সহজ পদ্ধতি বাতলে দেওয়ার ঘটনা প্রথমবার নয়। এর আগে ২০১৯ সালে একটি সভায় বঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “ভারতীয় গরুর বৈশিষ্ট্য, তার দুধের মধ্যে সোনার ভাগ থাকে। তার জন্য দুধের রঙ একটু হলদেটে হয়।” বছর দুয়েক পর নিজের বক্তব্যের সপক্ষে তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম গরুর দুধে সোনা পাওয়া যায়, তা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। যারা কোনওদিন গরুর দুধ খায় না তাঁরা কীভাবে সোনা পাবে? কীভাবে বুঝবে?!”