আফগান সীমান্তে বড় অভিযান পাক সেনার, গুলির লড়াইয়ে খতম ৩০ জঙ্গি

আফগান সীমান্তে বড় অভিযান পাক সেনার, গুলির লড়াইয়ে খতম ৩০ জঙ্গি

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান সীমান্তে বড়সড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পাক সেনার। মঙ্গলবার পাক সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, আফগানিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে অভিযান চালিয়ে ৩০ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে তাঁরা। যদিও কোন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে পাক সেনার এই অভিযান তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

পাক সেনার দাবি অনুযায়ী, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের কাবায়লি জেলায় এই অভিযান চালানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি চরম আকার নিয়েছে। আফগানিস্তান ঘেঁষা সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে আফগান জঙ্গিদের লাগাতার যাতায়াত ছিল। পাকিস্তানের মাটিতে শরিয়ত আইন লাগুর পাশাপাশি সীমান্তবর্তী রাজ্য দখলের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিল তারা। ওই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই তলানিতে নেমেছিল যে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। মৃত জঙ্গিদের কাজ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি সেনার।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের মাথাব্যাথার অন্যতম বড় কারণ তেহরিক-ই-তালিবান বা টিটিপি জঙ্গিরা। খাইবার পাখতুনখোয়া, বালুচিস্তান এই জঙ্গিদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেখান থেকে প্রায়শই পাক সেনাবাহিনীর উপর চলে মারণ হামলা। এদিকে এই অঞ্চল থেকে গিয়েছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসি। সেখানেও চিনা আধিকারিকদের উপর বহুবার হামলা চালিয়েছে এই জঙ্গিরা। ওই অঞ্চলে লাগাতার জঙ্গি হামলায় ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতিও। এই অবস্থায় কোণঠাসা পাকিস্তান উঠেপড়ে লেগেছে টিটিপিকে দমন করতে।

গত জানুয়ারি মাসে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে টিটিপি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। সেই অভিযানে মৃত্যু হয় ৩০ জঙ্গির। পাকিস্তানের অভিযোগ এই টিটিপি জঙ্গিদের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে কাবুল। যদিও সে অভিযোগ অস্বিকার করেছে তালিবান সরকার। এদিকে পাকিস্তানের রিপোর্ট বলছে, ২০২৪ সালে ৪৪৪টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। আর এইসব হামলার নেপথ্যে ছিল টিটিপি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *