আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরার নির্দেশ হাসিনাকে, এবার ভবিষ্যৎ কী?

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরার নির্দেশ হাসিনাকে, এবার ভবিষ্যৎ কী?

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবতী বিরোধী অপরাধ, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুতর মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে শুনানি চলছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। মামলা চলছে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে। রবিবার শুনানির লাইভ সম্প্রচার হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর বা সরকারি আইনজীবীর সওয়াল-জবাবের ভিত্তিতে আদালত হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল। আগামী ১৬ জুন তিনজনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইবুনাল। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এবার শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ কী? ভারত কি তাঁকে তুলে দেবে বাংলাদেশের হাতে?

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে দেশত্যাগ করতে কার্যত বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলে আসেন ‘বন্ধু’ ভারতে। আপাতত তিনি নয়াদিল্লির নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। হাসিনা পরবর্তী সময়ে নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার পর হাসিনাকে ঢাকার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দিল্লির কাছে একাধিকবার অনুরোধ করেছে। দিল্লি যদিও তাতে কর্ণপাত করেনি। এমনকী হাসিনাকে নিয়ে প্রকাশ্যেও কোনও মন্তব্য করেননি কোনও নেতা। এ বিষয়ে কেন্দ্রের নির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেশে আন্দোলনের আগুন জ্বলে ওঠার নেপথ্যে শেখ হাসিনার ‘ষড়যন্ত্রে’র মামলা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে এবং তাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল। আদালতে সশরীরে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

তবে ২০১৩ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, দু’দেশের স্বার্থে কোনও পলাতক আসামির বিচারের জন্য প্রত্যর্পণ করতে হবে। ভারতের মাটিতে ঢুকে পড়া বাংলাদেশি জঙ্গি এবং ভারতের সন্ত্রাসবাদী বাংলাদেশে নিজেদের আড়াল করলে এই চুক্তি প্রযোজ্য। তবে ব্যতিক্রমের কথাও উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে। উল্লেখ্য, এমন চুক্তিতে কোথাও শেখ হাসিনার মতো রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা কোনও ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণের কথা নেই। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র নিজস্ব নীতি অনুযায়ী এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই পারে।ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মত, ‘ভারতবন্ধু’ হাসিনাকে নয়াদিল্লি এত দ্রুত হস্তান্তর করবে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *