সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ওড়িশায় কলেজ ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা অধ্যাপকের! পশ্চিম ওড়িশার সম্বলপুরের গঙ্গাধর মেহের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক গ্রেপ্তার হতেই ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত অধ্যাপক ওই ছাত্রীকে নিজের সরকারি কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্তা করেন বল অভিযোগ। ওই থাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে। গত একসপ্তাহে কলেজ ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার এমন দু’টি ঘটনা ঘটল। এই পরিস্থিতিতে ওড়িশার কলেজ বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এদিকে যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে গায়ে আগুন দিয়ে ছাত্রীর মৃতু্যর ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ওড়িশা। কংগ্রেস-সহ ৮টি রাজনৈতিক দলের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে বৃস্পতিবার উত্তাল হয়েছে সে রাজ্য। এরই মধ্যে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল এক অধ্যাপককে।
ওড়িশায় অধ্যাপকের যৌন হেনস্তার বিচার চেয়ে ভরা ক্যাম্পাসে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন ছাত্রী। ভুবনেশ্বর এইমসে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই ছাত্রী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসকদের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও সোমবার রাতে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত অধ্যাপককে। কিন্তু ওই ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই প্রতিবাদে নেমেছে একাধিক বিরোধী দল। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। গোটা ঘটনাটিকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা’ বলে তোপ দেগেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ব্যথিত ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘সবচেয়ে যন্ত্রণার বিষয় হল, এই মৃত্যু কেবল দুর্ঘটনা নয়। যে সিস্টেমের উচিত ছিল তাঁকে সাহায্য করা, সেই সিস্টেমই চুপ করে থেকে তাঁকে হত্যা করেছে।’ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সূর্যবংশী সূরজের পদত্যাগ, গোটা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের মতো একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার বনধের ডাক দেয় সিপিএম, বিজেডি, কংগ্রেস-সহ আটটি দল।