সম্যক খান, মেদিনীপুর: বিষ খেয়ে ‘আত্মঘাতী’ বৃদ্ধা। সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু স্বামীর! ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। কিন্তু কেন এই জোড়া মৃত্যু? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কেশপুরের বিডিও কৌশিক রায় জানিয়েছেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম সুশান্ত পাত্র (৬৮) ও লতারানী পাত্র(৬২)। তাঁদের দুই সন্তান। বড় ছেলে চাষবাস করে। গ্রামেই থাকে। আর ছোট ছেলে উত্তর ২৪ পরগনার এক বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তবে ছেলেদের সঙ্গে থাকেন না বৃদ্ধ দম্পতি। অন্যান্যদিনের মতোই বুধবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমোতে যান দম্পতি। বৃহস্পতিবার অনেক বেলা পর্যন্ত তাদের ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পরবর্তীতে ঘরের মধ্যে দুটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারনা, ঘাস মারার বিষ খেয়ে প্রথমে আত্মঘাতী হন লতারানি পাত্র। সেই শোক সহ্য করতে না হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন স্বামী সুশান্ত পাত্র। প্রতিবেশীদের থেকে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন ওই দম্পতি। গত কয়েকদিন ধরে সুশান্তবাবুর প্রচণ্ড শরীর খারাপও ছিল। লতারানির আত্মহত্যার পিছনে সেই অনটনই কারণ কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।