সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের ভরসার মুখ হয়ে উঠেছিলেন মহম্মদ সিরাজ। যোগ্য সঙ্গ দেন আকাশ দীপ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণরাও। তবু জশপ্রীত বুমরাহর দুটি ম্যাচে অনুপস্থিতিতে বা অন্য ম্যাচগুলোতে কাজে লাগতে পারত মহম্মদ শামির অভিজ্ঞতা। এমনকী বিসিসিআইয়ের নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকরের সঙ্গে নাকি কথাও হয়েছিল শামির। তবু কেন বিলেত সফরে যাওয়া হল না শামির?
শামির ফিটনেস নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। আদৌ টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কি না সেই সংশয় রয়েছে। রনজি ট্রফিতে বল করেছেন ঠিকই, তবে মাত্র ৪-৫ ওভারের স্পেলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সবসময় চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের এক সূত্র বলেছেন, “প্রথমত অফ ফর্মের জন্য শামিকে বাদ দেওয়া হয়নি। ফিটনেসের জন্যই ওর ইংল্যান্ডে যাওয়া হয়নি।”
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সফরেও ছিলেন না শামি। ওই সূত্র আরও জানান, “অজি সফরে না যাওয়ায় বোঝা যাচ্ছিল, ইংল্যান্ডে ওকে কাজে লাগবে। ইংল্যান্ডে চূড়ান্ত দল নির্বাচনের সময় নির্বাচকরাও ওর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু শামিকে কখনওই ফিটনেস নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি। ও যে আমাদের আশ্বস্ত করবে, তা একেবারেই হয়নি। তাছাড়া আরও একটা প্রশ্ন হচ্ছে, শামি কি আদৌ আর দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেটে নিজে ফিরতে আগ্রহী?”
সামনে দীর্ঘ ঘরোয়া মরশুম। দলীপ ট্রফিতে পূর্বাঞ্চলের দলে আছেন তিনি। দল যদি কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে, তাহলে বোঝা যাবে, শামির শরীর টানতে পারছে কি না? শরীরে কোনও লুকনো চোট আছে কি না, সেটাও বোঝা যাবে। তাছাড়া, আরেকটা সমস্যা হল শামি সামনেই ৩৫ বছরে পা দেবেন। অর্থাৎ বয়সও তাঁর বিপক্ষে। যেখানে অর্শদীপ সিংরা রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকছেন, সেখানে শামি কি আর সুযোগ পাবেন?