সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েকের উত্তেজনার পর আচমকা সংঘর্ষবিরতি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, আমেরিকার মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ থামাতে রাজি হয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকও সংঘর্ষবিরতির কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করেছে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও এবার প্রশ্ন তোলা শুরু করল বিরোধীরা। কংগ্রেস বলছে, পহেলগাঁও হামলার পর থেকে শুরু করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি পর্যন্ত কী কী হল, কেন হল সব ব্যাখ্যা দিতে হবে সরকারকে। সেজন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক।
কেন্দ্র যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পরই কংগ্রেসের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দুটি তোলেন। রমেশের বক্তব্য, “ওয়াশিংটন ডিসির অভূতপূর্ব ঘোষণার পর দুটি জিনিস এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। এক, প্রধানমন্ত্রীর নিজের সর্বদল বৈঠক ডাকা উচিত। এবং সব রাজনৈতিক দলকে পুরো বিষয়টি জানানো উচিত। দুই, গত ১৮ দিনে কী কী হয়েছে, সবটা জানানো ঠিক কী হয়েছে। নৃশংস পহেলগাঁও হামলার পর থেকে যুদ্ধবিরতি পর্যন্ত ঠিক কী কী হল সবটা জানানো উচিত সরকারের। এখানেই শেষ নয়, ইন্দিরার আমলের পাক সেনার আত্মসমর্পণ এবং আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ভিডিও পোস্ট করে বর্তমান সরকারকে খোঁচাও দিয়েছে কংগ্রেস।দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলছেন, “আজ ইন্দিরা গান্ধীর মতো নেতাকে ভীষণভাবে মিস করছে ভারত।”
In view of the unprecedented bulletins from Washington DC, there may be now a necessity, greater than ever earlier than, for –
1. The PM to chair an all-party assembly and take political events into confidence
2. A particular session of Parliament to debate the occasions of the final eighteen…
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) May 10, 2025
কংগ্রেসের সেই দাবিকে সমর্থন করেছে আরজেডিও। তেজস্বী যাদবও বলছেন, পহেলগাঁও হামলার পর থেকে গত ১৮ দিনে কী কী হল, কেনই বা আচমকা সংঘর্ষবিরতি করা হল, সবটা জনসমক্ষে জানানো উচিত সরকারের। যদিও অধিকাংশ বিরোধী দলই সংঘর্ষবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে। সিপিএমের বক্তব্য, “দুদেশের মানুষই শান্তি প্রয়োজন। এই শান্তির প্রক্রিয়াকে আমরা স্বাগত জানাই।”
উল্লেখ্য, আমেরিকা দুদেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরও পাকিস্তানের তরফে সেই চুক্তি ভেঙে গুলি চালানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের সদিচ্ছা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। ভারত অবশ্য জানিয়েছে, সংঘর্ষবিরতি হলেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। সরকারের সেই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধী শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন