সুব্রত বিশ্বাস: বিহার থেকে রাজ্যে বড়সড় অস্ত্র পাচারের চক্রান্ত ফাঁস। পাশাপাশি রাজ্য থেকে অভিনব পদ্ধতিতে মদ পাচার করা হচ্ছিল সেই বিহারে। দু’টি পাচারই হত রেলপথে। হাওড়া স্টেশন থেকে হচ্ছিল অস্ত্র পাচার। দুই পাচারকারীকে ধরার পর পর্দাফাঁস করেছে এসটিএফ। প্রশ্ন উঠছে, স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়েও।
সূত্রের খবর, হাওড়া স্টেশন থেকে এক ব্যক্তিকে ধরে গুলি ভর্তি বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে রাজ্য এসটিএফ। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, ধৃত মহম্মদ মহতাব বিহারের আকবর নগরের বাসিন্দা। উদ্ধার হয়েছে দু’টো পাইপগান ও ৪২টি ৮এমএম কার্তুজ। এসিএফের হাতে ধরা পড়া ওই পাচারকারী রাজ্যের একাধিক জায়গায় অস্ত্র পাচার করার পরিকল্পনা করেছিল। ট্রেনে করে রাজ্যে অস্ত্রপাচার, তাও আবার হাওড়ার মতো স্টেশন দিয়ে হওয়ায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
হাওড়া স্টেশনের নিরাপত্তায় আরপিএফের চারটি পোস্ট ও জিআরপির দু’টি থানায় শ’পাঁচেক নিরাপত্তা কর্মী থাকায় অস্ত্রপাচারকারীরা কিভাবে এই স্টেশনে সক্রিয় তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে প্রশাসন। এসটিএফ জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর থাকায় দল বেধে ওঁৎ পেতে ছিল হাওড়া স্টেশনে। ট্রেনের শৌচালয়ের দেওয়ালের প্লাই খুলে তাতে মাদের বোতল ঢুকিয়ে বিহারে পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।
এদিকে, গতকাল সোমবার ব্যান্ডেল থেকে জয়নগর এক্সপ্রেসে ওঠে প্রচুর বিয়ারের ক্যান। ট্রেনটির শৌচালয়ের প্লাই স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খুলে তার মধ্যে প্রচুর পরিমান বিয়ারের ক্যান ঢোকানোর সময় আরপিএফের সিআইবির আধিকারিকরা এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। পাচারকারীর নাম বিশাল রায়। ব্যান্ডেলের বাসিন্দা। ধৃতকে বর্ধমানে আরপিএফ নামিয়ে নেয়। ধৃত বিশাল জানিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের নজর এড়াতে ব্যান্ডেলের থেকে পাচার করা হচ্ছিল মদ। তার থেকে আটক করা হয়েছে প্রচুর বিয়ারের ক্যান।