‘আগামী ৫ বছরে মেদিনীপুরের বহু মানুষের চাকরি হবে’, শালবনিতে মমতার প্রশংসায় সৌরভ

‘আগামী ৫ বছরে মেদিনীপুরের বহু মানুষের চাকরি হবে’, শালবনিতে মমতার প্রশংসায় সৌরভ

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দু’টি ইউনিটের শিলান্যাস করেছেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। মহারাজ বললেন, “আমি মনে করি আগামী পাঁচ বছর আপনাদের খুব ভালো কাটবে। মেদিনীপুরের মানুষদের চাকরি হবে।” 

জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৬০০ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রায় ১৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান হবে বলেও ঘোষণা করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও এক ঝাঁক মন্ত্রী, প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার আগে অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মমতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “কাগজে পড়ি, খবরে দেখি মানুষ চায় তাঁর পরিবারের জন্য একটা চাকরি। আর সুন্দর জীবন। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি পাঁচ বছর পর আপনারা যা সুযোগ সুবিধা পাবেন, তাতে কোনও অভাব, অভিযোগ করতে পারবেন না। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। এবং অবশ্যই ধন্যবাদ জানাব জিন্দাল গোষ্ঠীকে।”

এদিনের অনুষ্ঠানে বিগত বাম সরকারকে একহাত নিয়ে মমতা বলেন, “আগের সরকারের আমলে ঘন ঘন লোডশেডিং হত। কথায় কথায় সাধারণ মানুষ বলত লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার। তবে এখন ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।” তিনি জানান, আরও দুটো তাপবিদ্যুৎ তৈরি করবে জিন্দল গোষ্ঠী। তাছাড়া বাংলায় ছ’টি ইকোনমিক করিডর হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেই ৩৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

বাংলায় কর্মসংস্থান নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, “দেউচা-পাঁচামিতে ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। এখানেও ১৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে। বিরোধীদের অপপ্রচার নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “আমার সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু আমায় উপেক্ষা করতে পারবেন না।” রাজ্য সরকারের প্রশংসা করে সজ্জন জিন্দল জানান, “শালবনিতে গত ১০ বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে। শিল্প করতে কৃষকরা জমি দিয়েছেন। তাই তাঁরা যাতে উপকৃত হন, সেটা আমাদের দেখতে হবে। দিদিও আমাকে সে কথা বারবার বলেছেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *