আওয়ামিকে নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল ঢাকা-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনুসের চাপ বাড়িয়ে পথে পড়ুয়ারা

আওয়ামিকে নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল ঢাকা-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনুসের চাপ বাড়িয়ে পথে পড়ুয়ারা

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের তোরজোড় শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই ভোটযুদ্ধে কি নামতে পারবে আওয়ামি লিগ? কারণ ছাত্র-জনতার ‘গণ অভ্যুত্থানে’ দেশ ছেড়েছেন দলের সভাপতি তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দলকে দ্রুত নিষিদ্ধ করে দেওয়ার দাবি তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এই পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা তাঁর সরকারের নেই। এরপরই নতুন করে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা, রাজশাহী-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। প্রবল বিক্ষোভ হচ্ছে চট্টগ্রামেও। পথে নেমেছে পড়ুয়ারা। সকলের দাবি একটাই। নিষিদ্ধ করতে হবে হাসিনার দলকে। 

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনুস। সেখানেই তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে দলের যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ-সহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে। সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনও দাবির কারণে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হবে না।

এরপরই আজ শুক্রবার থেকে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ শুরু হয়। বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে’ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সেখান থেকে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা করা হয়। যতদিন না আওয়ামিকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এদিকে, হাসিনার দলকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলে‘খুনি লিগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করো, করতে হবে, করতে হবে’, ‘আওয়ামি লিগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় পড়ুয়াদের।

বিশ্লেষকদের মতে, ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত নয়। তাই এই সরকারের বৈধতা নিয়ে নানা সংশয় রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কোনও অন্তর্বর্তী সরকার কি একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে? কিন্তু এখন ভোট, সংখ্যালঘু নির্যাতন, মূল্যবৃদ্ধি, দেশে বাড়তে থাকা অপরাধ, এরকম নানা ইস্যু নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে রয়েছেন ইউনুস। বাড়তে থাকা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। তাই এই মুহূর্তে আওয়ামিকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে কোনও বিতর্কে জড়াতে চান না ইউনুস। কিন্তু এদিকে, আওয়ামিকে ভোটে লড়তে না দেওয়া নিয়েও প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ফলে আরও চাপ বাড়ছে প্রধান উপদেষ্টার উপর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *