সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের লাগাতার হামলার চেষ্টা কড়া হাতে বানচাল করেছে ভারতীয় সেনা। জল-স্থল-বায়ু, তিন ক্ষেত্রেই ভারতীয় শক্তির পরাক্রমে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে পড়শি দেশ। এই আবহে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার খাতিরে আপাতত এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে আইপিএল। বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা এ কথা ঘোষণা করেছেন।
তাঁর কথায়, “বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে টুর্নামেন্টের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য গর্বিত। বিসিসিআই আমাদের সেনাবাহিনী এবং সরকারের পাশেই রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, এখনও আইপিএলে বাকি ১২টি লিগ পর্যায়ের ম্যাচ, চারটি প্লে অফ ম্যাচ-সহ ফাইনাল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা করা হয়নি বাকি ম্যাচগুলি কবে হবে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সম্ভাব্য সময়সূচিও। যদিও রাজীব শুক্লার ঘোষণার পরেও সম্ভাব্য সূচি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এক সপ্তাহ পর যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, সেক্ষেত্রে কী হবে?
ক্রিকেট মহলের ধারণা, উত্তেজনা কমলে হয়তো বাকি ম্যাচগুলির আয়োজন করবে বিসিসিআই। যদিও জুন মাসে ভারত যাবে ইংল্যান্ড সফরে। এরপর আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর, ঠাসা সূচি রয়েছে ভারতীয় দলের সামনে। সেই কারণে কোন সময় ফের শুরু হবে আইপিএল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যদিও আইপিএল মাঝপথে স্থগিত হয়েছিল এর আগেও। ২০২১ সালে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে মাঝপথে স্থগিত হয় এই কোটিপতি লিগ। টুর্নামেন্টের বাকি খেলাগুলি চলে যায় আরব আমিরশাহিতে। তাই মনে করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আরব আমিরশাহি কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানান্তরিত হতে পারে আইপিএল।
যদিও এক্ষেত্রে প্রশ্ন রয়েছে। আইপিএলের বাকি ম্যাচ যখন আয়োজিত হবে, সেই সময় বিদেশি ক্রিকেটাররা কি আদৌ উপলব্ধ থাকবেন? তাই আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই।
অন্যদিকে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। কেবল তাই নয়, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররাও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাছাড়াও আইপিএল খেলছেন অন্যান্য দেশের ক্রিকেটাররাও। তাঁদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে দেওয়াটাই এখন সবার আগে লক্ষ্য থাকবে বিসিসিআইয়ের। আপাতত, আইপিএলের অষ্টাদশ মরশুম অনিশ্চিত। ভারতীয় বোর্ড এখন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই নজর ক্রিকেট মহলের।