আইপিএলে খেলেও প্রাপ্য অর্থ মেলেনি! বকেয়ার জন্য আজও অপেক্ষায় জাদেজা-স্মিথরা

আইপিএলে খেলেও প্রাপ্য অর্থ মেলেনি! বকেয়ার জন্য আজও অপেক্ষায় জাদেজা-স্মিথরা

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলে খেলেও প্রাপ্য অর্থ পাননি ভিভিএস লক্ষ্মণ, রবীন্দ্র জাদেজা, স্টিভ স্মিথের মতো তারকারা! এমনই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, আইপিএল খেলেও প্রাপ্য বেতনের অন্তত ৩৫ শতাংশ এখনও বাকি রয়েছে তাঁদের। ১৪ বছর কেটে গেলেও জাদেজারা সেই বকেয়া বেতন পাননি। আসলে সময়মতো ব্যাঙ্ক নিরাপত্তার টাকা জমা দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি। তার পরেই আটকে গিয়েছে ক্রিকেটারদের বেতনও।

কথা হচ্ছে কোচি টাস্কার্স কেরালাকে নিয়ে। আইপিএলের অবলুপ্ত দলটির সঙ্গে চুক্তি ভেঙেছিল বোর্ড। প্রথমে যাদের মালিকানা ছিল রঁদেভ্যু স্পোর্টস (আরএসডব্লু) ও পরে কোচি ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেডের (কেসিপিএল) হাতে। বোর্ডের তরফ থেকে বলা হয়, আইপিএলে খেলার জন্য ওই বছরের মার্চের মধ্যে যে ব্যাঙ্ক নিরাপত্তা দিতে হয়, তা কোচির মালিকরা দিতে পারেনি। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফ থেকে বলা হয়, স্টেডিয়াম সংক্রান্ত সমস্যা, শেয়ার বিষয়ক অনুমতি ও আইপিএলের ম্যাচ কমায় তারা সময়মতো ব্যাঙ্ক নিরাপত্তার টাকা জমা দিতে পারেনি।

বিসিসিআই তারপরও কোচি টাস্কার্সের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিল। কিন্তু আচমকাই চুক্তিভঙ্গ করে এবং আরএসডব্লুর দেওয়া আগের টাকা তুলে নেয়। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেসিপিএল ও আরএসডব্লু, দুজনেই বিশেষ সালিসিতে আবেদন জানায়। তাতে ২০১৫ সালে তারাই জয় পায়। এবং সেই সালিশিতে রায় আসে যে, আরএসডব্লুকে ১৫৩ কোটি ও কেসিপিএলকে ৩৮৪ কোটি টাকা সুদসমেত দিতেই হবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৫৩৮ কোটি টাকারও বেশি। সেই রায় বহাল রেখেছে বম্বে হাই কোর্টও।

উচ্চ আদালতের এই রায় প্রকাশ্যে আসার পরেই সূত্র মারফত জানা যায়, ২০১১ সালে কোচির দলে থাকা একাধিক তারকাই বরাদ্দ বেতন পাননি। সেবার সর্বোচ্চ ৬.৮ কোটি টাকা দিয়ে মাহেলা জয়বর্ধনেকে দলে নিয়েছিল কোচি। কিন্তু শ্রীলঙ্কার তারকার প্রায় ২ কোটি টাকা এখনও মেটানো হয়নি। এছাড়াও বকেয়ার তালিকায় রয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম, পার্থিব প্যাটেল, এস শ্রীসান্থের মতো তারকারা। কেরলের স্থানীয় ক্রিকেটারদের বেতনও বকেয়া রয়েছে। এবার কি তাহলে বকেয়া অর্থ পাবেন তাঁরা?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *