সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অনেকেই তাঁর সুর বদলের ইঙ্গিত পাচ্ছিলেন। এবার একপ্রকার প্রকাশ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান এনডিএ ছাড়ার জল্পনায় শিলমোহর দিয়ে দিলেন। সরণের সভা থেকে চিরাগ আবারও বললেন, “বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে আমি লড়ব। আমি লড়ব কথাটা বলার অর্থ হল রাজ্যের ২৪৩ আসনেই আমি প্রার্থী দেব।”
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। শনিবার দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় পাটনার ব্যবসায়ী তথা বিজেপি নেতা গোপাল খেমকারের। বাড়ির কাছে গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেই ঘটনাকে সামনে রেখে চিরাগ এবার বলে দিলেন, “রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগের। যে এলাকায় ব্যবসায়ীকে গুলি করা হয়েছে সেটা পাটনার অভিজাত এলাকা। মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে রাজনৈতিক নেতাদের বাস। সেই এলাকাতেই যদি এমন হয়, তাহলে গোটা রাজ্যের কী অবস্থা!” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিলেন, “তিনি এমন একটা জোটকে সমর্থন করেন, যা গোটা দেশে সুশাসনের জন্য প্রতিষ্ঠিত। অথচ বিহারের এই অবস্থা!”
বস্তুত, লোকজন শক্তি পার্টির সুপ্রিমো নিশানা করেছেন নীতীশ কুমারকে। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, বিহারের নির্বাচনে সব আসনে লড়তে চায় তাঁর দল। সেটা স্পষ্টতই এনডিএতে ভাঙনের ইঙ্গিত। কারণ এনডিএর অন্দরে প্রাথমিক যে আসনরফা হয়েছে তাতে গোটা তিরিশের বেশি আসন পাওয়ার কথা নয় লোকজন শক্তি পার্টির। শেষ পর্যন্ত চিরাগ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আলাদা লড়লে সেটা নীতীশ কুমারের জন্য বড় ধাক্কা হবে। কুড়ির নির্বাচনে চিরাগ একা লড়ে সমূহ ক্ষতি করেছিলেন নীতীশের।
লোক জনশক্তি পার্টির (রামবিলাস) সুপ্রিমো ও কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী ইস্তফা দিতে পারেন, সে জল্পনা দিল্লিতেও ছড়িয়েছে। তিনি পুরোপুরি রাজ্য রাজনীতিতে মনোনিবেশ করতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। চিরাগ প্রমাণ করতে চান, তিনি সমগ্র বিহারবাসীর নেতা। তাই দলিত আসন ছেড়ে ‘জেনারেল’ বা অসংরক্ষিত আসন থেকে লড়াই করতে পারেন। যদিও সেটা এনডিএর মধ্যে থেকে না বাইরে বেরিয়ে, সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়।