সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপাল এখনও অশান্ত। অবাধে চলছে লুটতরাজ। ব্যাঙ্ক ডাকাতির খবর যেমন মিলছে, তেমনই জেল থেকে পালাচ্ছে কয়েদিরা। নিশানা করা হচ্ছে শিল্পপতি ও নেতাদের বাড়িকে। জানা গিয়েছে, নাবালকদের সংশোধনাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করায় সেনার গুলিতে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত সাত।
নৌবস্তা জেলের প্রধান জলন্ধর মুসাল জানিয়েছেন, কিশোর কয়েদিরা গেট ভেঙে পালানোর চেষ্টা করতেই গুলি চালানো হয়। জেল থেকে ৫৮৫ জন এবং সংশোধনাগার থেকে ৭৬ জন কয়েদির পালানোর কথা জানা গিয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে স্পষ্ট, মঙ্গলবারের থেকে বুধবারও পরিস্থিতি একই রকম খারাপ। জেন জেড বিক্ষোভে সরকার পতন তো বটেই, হিংসায় এখনও পুড়ছে এভারেস্টের দেশ। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে নেপালের পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছে সেনা। বিকেল ৫টা থেকে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
#WATCH नेपाल की राजधानी काठमांडू में नेपाली सेना गश्त कर रही है, जहां पिछले दो दिनों से हिंसा जारी है और विरोध प्रदर्शन हिंसक हो गया था।
कथित भ्रष्टाचार को लेकर सरकार के खिलाफ प्रदर्शनों के बीच नेपाली प्रधानमंत्री केपी शर्मा ओली ने कल इस्तीफा दे दिया। pic.twitter.com/T52TPB1mHw
— ANI_HindiNews (@AHindinews) September 10, 2025
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নেপালে নিষিদ্ধ হয় ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া। সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি ভাবে নথিবদ্ধ হয়নি। সাতদিনের ডেডলাইন দিলেও তা মেনে চলেনি ২৬টি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একটিও। তাই এই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কাঠমান্ডু সরকার। এমন সিদ্ধান্তেই বেজয় ক্ষেপেছে নেপালের ‘জেন জি’।
সোমবার হাজার হাজার প্রতিবাদী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান। রাতের মধ্যে তা হিংসাত্মক চেহারা নেয়। এরপর মঙ্গলবার আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে জনরোষের মুখে পড়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ওলি। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে তো আসেনিই, উলটো বিভিন্ন ধরনের অশান্তির খবর আসছে।