সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হার্ট অ্যাটাক এবং অকালমৃত্যুর সঙ্গে কোভিড ভ্যাকসিনের কোনও যোগ নেই! স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্র। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ এবং দিল্লি এইমসের যৌথ রিপোর্ট বলছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে অকালমৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেটার সঙ্গে কোভিড ভ্যাকসিনের কোনও যোগ নেই। এই ধরনের কোনও সংযোগ খোঁজার চেষ্টাও অবৈজ্ঞানিক।
বস্তুত করোনা অতিমারীর পর থেকে যে অল্প বয়সে মৃত্যু, আকস্মিক হার্ট অ্যাটাক বা কোনও কাজের মধ্যে থাকাকালীন পড়ে গিয়ে মৃত্যু এসব একধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে। সাধারণ মানুষ তো বটেই বহু সেলিব্রিটিরও কোভিডের পর অকালমৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি কর্নাটকের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সে রাজ্যের স্রেফ একটি জেলায় (হাসন) গত এক মাসে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী খোলাখুলি দাবি করেন, অল্প বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বাড়ার এই প্রবণতার নেপথ্যে কোভিড টিকা দায়ী হতে পারে। করোনা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্র বড্ড তাড়াহুড়ো করেছিল বলেও অভিযোগ করেন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু আইএসিএমআর ও এইমসের যৌথ রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হল, এই ধরনের মৃত্যুর সঙ্গে করোনার ভ্যাকসিনের কোনও যোগ নেই। এই ধরনের যে সংযোগ দাবি করা হচ্ছে, সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বুধবার জানিয়েছে, ১৮-৪৫ বছর বয়সিদের যাঁদের অকালে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের নিয়ে গবেষণা করেছে আইসিএমআর এবং ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। পরে আইসিএমআর এবং দিল্লি এইমসও একই বিষয়ে গবেষণা করেছে। দুই ক্ষেত্রেই জানা গিয়েছে, অল্পবয়সীদের অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী দুর্বল হৃৎপিণ্ড, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, হৃদপিণ্ডে পেশির দুর্বলতা এবং গোটা শরীরে রক্ত সঞ্চালনার অনিয়মিয়তা। এমনকী ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান, রাত জেগে মদ্যপানও অকালে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হিসাবে। কোনওভাবেই করোনা টিকার সঙ্গে এর কোনও যোগাযোগ নেই।