সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসসিও বৈঠকে একফ্রেমে ধরা দিয়েছে বিশ্বের তাবড় নেতৃত্ব। ট্রাম্পকে মোদির উত্তর অথবা ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে কিম-পুতিন সামনাসামনি আসা সব কিছুকে ছাপিয়ে এখন খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে দুই নেতার ‘অমরত্বের আড্ডা’।
এসসিও সম্মেলনের গুরুগম্ভীর ছবি হঠাৎ বদলে গেল। একটি মাইক্রোফোনে শোনা গেল চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন ১৫০ বছর বেঁচে থাকা নিয়ে। দুই নেতারই বয়স প্রায় ৭২ বছর। দু’জনেরই ক্ষমতায় টিকে থাকা বহুবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আবার দু’জনেই নিজের পরবর্তী নেতার নাম এখনও জানাননি। তাই দুই নেতার মধ্যে মানুষের অমরত্বের সম্ভাবনা সম্পর্কে এই বিরল কথোপকথনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আগুনে ঘি পড়েছে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনকে ওই কথোপকথন শুনে হাসতে দেখে।
ঐতিহাসিক তিয়ানআনমেন গেট থেকে এগিয়ে আসছেন তিন রাষ্ট্রনায়ক, মতান্তরে বর্তমান যুগের তিন ‘স্বৈরশাসক’। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৮০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে তিন (এক)নায়কের অমরত্বের আলোচনায় উত্তেজিত নেটপাড়া। মাইকে ধরা পড়া কথোপকথনে শোনা গিয়েছে পুতিন বলছেন, “মানুষের বিভিন্ন অঙ্গ ক্রমাগত প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। এর মাধ্যমে প্রায় অমরত্ব পাওয়া যেতে পারে।” অন্যদিকে শি বলেন, “আজকের যুগে প্রায় ১৫০ বছরও বাঁচা সম্ভব যা আগেকার দিনে ভাবা যেত না।”
প্রসঙ্গত, শি এবং পুতিন দু’জনেরই বয়স ৭২ বছর। সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে তারা নিজেদের প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদের সীমা আজীবনের জন্য বাড়িয়ে ফেলছেন। এই অবস্থায় অমরত্বের আলোচনা দুই দেশের মানুষকে আমোদ দেবে নাকি আরও শঙ্কিত করবে তা বলবে সময়।