দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: চরম অভাব। ঠিকমতো খাওয়া জুটছিল না। সেই তাড়নায় বারুইপুর স্টেশনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বৃদ্ধ দম্পতির। শনিবার রাতে স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁরা। স্বামী ঠিক থাকলেও, আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বছর সত্তরের সন্ন্যাসী কর্মকার ও তাঁর স্ত্রী পয়ষট্টি বছরের ঝর্ণা কর্মকার আদতে ডায়মন্ডহারবারের বাসিন্দা। তাঁরা বাড়িতে একাই থাকেন। সন্তান নেই বলেই জানা গিয়েছে। একসময় ফ্যানের কারখানায় কাজ করতেন সন্ন্যাসী। কিন্তু লকডাউনে সেই কাজটি চলে যায়। চরম অর্থে কষ্টে দিন কাটছিল তাঁদের। দু’বেলা খাবার জুটছিল না। নানাভাবে চেষ্টা করলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন দম্পতি।
শনিবার সকালে ডায়মন্ডহারবার থেকে ট্রেনে বারুইপুর আসেন। প্রায় সারাদিন বারুইপুর স্টেশনের চার নম্বরে প্ল্যাটফর্মেই কাটিয়ে দেন। সন্ধ্যায় স্টেশন থেকে বেরিয়ে রেলগেটের দিকে গিয়ে বিষ কিনে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারপর আবার চলে আসেন বারুইপুর প্ল্যাটফর্মে। তাঁদের অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে জিআরপিতে খবর দেন যাত্রীরা। পুলিশ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সন্ন্যাসী সুস্থ থাকলেও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা। কোনওমতে বৃদ্ধ সন্ন্যাসী কর্মকার বলেন, “কাজ চলে যাওয়ার অর্থকষ্টে দিন কাটছিল। বাড়িতে কেউ নেই। এই কাণ্ড করে ফেলেছি।” পুলিশ বৃদ্ধকে হাসপাতালেই রেখেছে। সব দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।