সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখক তথা বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদির হামলাকারী হাদি মাতারের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হল। সেদিনের হামলার পর এই প্রথম বিচারক ডেভিড ফোলের এজলাসে প্রথমবার রুশদি মুখোমুখি হলেন তাঁর আততায়ীর। নিউ ইয়র্কের আদালতে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বর্ষীয়ান সাহিত্যিকের আইনজীবীর দাবি, আততায়ী মাতারের উদ্দেশ্যই ছিল রুশদিকে হত্যা করা। অন্যদিকে অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল নির্দোষ।
রুশদির আইনজীবী দাবি করেন, কোনও সংশয় ছাড়া গায়ের জোরে বারবার ছুরির কোপ মারা হয়েছিল ৭৭ বছরের সাহিত্যিককে। ‘খুনের চেষ্টা’ ও ‘সশস্ত্র হামলা’র অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবশেষে শুরু হল বিচার প্রক্রিয়া। প্রসঙ্গত, হামলার দিন নিউ ইয়র্কের চাউটাউকুয়া ইন্সটিটিউশনে ভাষণ দিতে পৌঁছন রুশদি। ঠিক ছিল সেখানে ‘আমেরিকায় শরণার্থী লেখকেরা’ বিষয়ের উপর প্রখ্যাত সাহিত্যিকের সঙ্গে কথা বলবেন সঞ্চালক হেনরি রিস ৷ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল আগামী বছর প্রকাশ্যে আসতে চলা রুশদির উপন্যাস ‘ভিকট্রি সিটি’ নিয়েও৷ কিন্তু সে সব অধরাই থেকে যায়৷ মঞ্চে আসতেই তাঁর দিকে তেড়ে যায় এক ব্যক্তি। এই অতর্কিত আক্রমণে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলেই। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রুশদিকে উপর্যুপরি ছুরির আঘাত করে ওই ব্যক্তি। তাঁকে কিল-চড়ও মারে হামলাকারী।
এদিকে, সংবিৎ ফিরে পেয়েই হামলাকারীকে ধরে ফেলেন সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা। রুশদিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক চোখের দৃষ্টিশক্তি ও একটি হাত নাড়াচাড়া করার শক্তি হারিয়েও দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন রুশদি। এদিকে হামলাকারী হাদি মাতারের সেই সময় বয়স ছিল ২৪। সে নিউ জার্সির বাসিন্দা ছিল। আইনজীবীরা বিচারককে আগেই জানিয়েছেন তার রুশদির উপরে এই হামলা যে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ তা পরিষ্কার।