‘অপারেশন সিঁদুরে আমাদের কোনও ক্ষতি হয়নি’, সব জল্পনা ফুঁৎকারে ওড়ালেন ডোভাল

‘অপারেশন সিঁদুরে আমাদের কোনও ক্ষতি হয়নি’, সব জল্পনা ফুঁৎকারে ওড়ালেন ডোভাল

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুdoval অন্যদিকে পাকিস্তানের ১৩টি বিমানঘাঁটি ধ্বংসের ছবি আপনারা সকলে দেখেছেন। পাশাপাশি এই সংঘাতে চিন ইস্যুতেও মুখ খোলেন ডোভাল। 
 
শুক্রবার আইআইটি মাদ্রাজের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে ডোভাল বলেন, দেশীয় প্রযুক্তিকে সামরিক কাজে ব্যবহারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই অভিযান। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা কিছু আমরা ব্যবহার করেছি সবই আমাদের নিজস্ব। আমরা ৯টি জঙ্গিঘাঁটিকে নিশানা করেছিলাম। মাত্র ২৩ মিনিটের অপারেশনে নির্ভুল লক্ষ্যে প্রতিটি ধ্বংস করেছি। এরপরই বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে নিশানা করে তিনি বলেন, আপনারা কেউ একটি ছবি প্রকাশ্যে এনে প্রমাণ করুন ভারতের কোনও ক্ষতি হয়েছে। এর পাশাপাশি নাম না করে আমেরিকা ও পাকিস্তানকে নিশানা করে ডোভাল বলেন, ওরা মুখে এক কথা বলছে অথচ উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের ১৩টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাফালে যুদ্ধবিমান ধ্বংস নিয়ে বিদেশি কুৎসা ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে দাসাল্ট। স্পষ্ট জানানো হয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে একটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই জল্পনার মাঝেই ডোভালের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 
 
অন্যদিকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সম্প্রতি বিবৃতি দিয়েছিল সেনা। যেখানে জানানো হয়েছিল কীভাবে এই সংঘাতে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল চিন, তুরস্কের মতো দেশ। সেনা জানায়, গত ৫ বছরে পাকিস্তান তার অস্ত্রের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ চিন থেকে আমদানি করেছে। অপারেশন সিঁদুরের সময় চিন পাকিস্তানকে ঠিক কতটা সমর্থন যুগিয়েছিল তার বিশদ তথ্য পাওয়া বেশ কঠিন। সাধারণত এই ধরনের সংঘাতের সময় সীমান্তে সমস্যা দেখা দেয়। তবে এবার উত্তর সীমান্তে খুব বেশি অস্বাভাবিক কার্যকলাপ দেখা যায়নি। তবে পর্দার আড়াল থেকে চিন তার সর্বকালের বন্ধুকে সমর্থন যুগিয়ে গিয়েছে। তুরস্কও পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে। অর্থাৎ এই লড়াইয়ে তিনটি শত্রুর সঙ্গে একত্রে লড়তে হয়েছে ভারতকে। 
 
সে প্রসঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর জোর দিয়ে ডোভাল বলেন,  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল খেলার গতিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল। তবে সেক্ষেত্রে বিদেশি নয় স্বদেশী প্রযুক্তির বিকাশের উপর বেশি করে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলেন, ৫জি তৈরি করতে চিনের ১২ বছর সময় লেগেছে, খরচ হয়েছে ৩০০ বিলিয়ন ডলার। আমাদের কাছে এত সময় ও অর্থ ছিল না। তারপরও মাত্র আড়াই বছরে বিকল্প সংস্করণ তৈরি করেছে ভারত। এজন্য আমরা বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে ঋণী। 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *